অনেকেই দাবি করেন, কর্নফ্লেক্স অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি কতটা উপকারী?
সকালের খাবারে এক বাটি কর্নফ্লেক্স হলে আর কথা নেই! চটজলদি খেয়ে কাজে বেরোনো যায়। অনেকের তো ডেইলি রুটিনের মধ্যেই রয়েছে কর্নফ্লেক্স। এ নিয়ে বাজার চলতি নানা কথাও শোনা যায়। অনেকেই দাবি করেন, কর্নফ্লেক্স অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের বক্তব্য, ডায়াবেটিস রোগীদের কর্নফ্লেক্স থেকে দূরে থাকা উচিৎ। এর পিছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণগুলি হল-
কর্নফ্লেক্সের GI লেভেল ৮২। এর জেরে রক্তে গ্লুকোজ ও চিনির মাত্রা ক্রমে বাড়তে থাকে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কর্নফ্লেক্স এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার সাধারণত ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। ব্লাড সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। কিন্তু কর্নফ্লেক্সে প্রোটিনের পরিমাণ খুব কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই খাদ্য উপাদান খুব একটা উপকারী নয়।
এর মধ্যে প্রচুর মাত্রায় সুগার থাকে। এটি শরীরে ফ্যাট স্টোরেজ প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। এরে জেরে স্থূলত্ব, নানা ধরনের হৃদরোগ বা এই জাতীয় সমস্যা দেখা যায়।
পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এটি ততটা কার্যকরী নয়। এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে বা রোজ খেলে সাধারণ মানুষেরও সমস্যা হতে পারে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
কর্নফ্লেক্স সেভাবে খিদে মেটাতে পারে না। অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখার ক্ষমতা এর নেই। এর ফলে উল্টোপাল্টা খাওয়া হয়ে যেতে পারে। বারে বারে ভুলভাল খেলে ওজন বাড়তে পারে। শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে ডায়েটে কর্নফ্লেক্স নেই বলে, চিন্তার করে লাভ নেই। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের ব্রেকফাস্টের জন্য একাধিক অপশন রয়েছে। এক্ষেত্রে ওটস খাওয়া যেতে পারে। বেরি, আপেল, আমন্ড, আখরোট, অল্প দুধ খাওয়া যেতে পারে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট থাকে। চিনির পরিমাণ কম থাকে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
বিবার্তা/অনামিকা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]