শিরোনাম
বিএসএমএমইউয়ে করোনার পরীক্ষা শুরু, ফল মাত্র ৪ ঘণ্টায়
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৯:২৩
বিএসএমএমইউয়ে করোনার পরীক্ষা শুরু, ফল মাত্র ৪ ঘণ্টায়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ভাইরোলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ফিভার ক্লিনিক ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে মাত্র ৪ ঘণ্টায়।


জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা রোগীর সঙ্গে কথা বলে লক্ষণ বিচার করবেন। তারা যে ব্যক্তিকে করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করবেন কেবল তাকেই পরীক্ষা করবেন। রোগীর নমুনা সংগ্রহের পর চার ঘণ্টার মধ্যে ফল জানা যাবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছেন, রোগীরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোগীরা এই পরীক্ষাটি বিনামূল্যে করাতে পারবেন।


তিনি বলেন, সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আমরা ফিভার ক্লিনিক নামে একটি বিভাগ চালু করেছি। যে কেউ আমাদের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হবে, তাদেরও পরীক্ষা করা হবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী জানিয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশ বেতার ভবনের নিচতলায় স্থাপিত ফিভার ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের পর যেসব রোগী করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত হবেন সেসব রোগীরাই এই পরীক্ষাটি করাতে পারবেন।


তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে যে পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হবে, তা হলো পিসিআর পদ্ধতিতে মলিকুলার টেস্ট; এটা রক্তের পরীক্ষা নয়। যে কোনো ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালে এসে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা করতে পারবেন।


যেভাবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা


করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য দুটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। একটি যন্ত্রের নাম এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিন এবং রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিন। প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তির মুখের লালা বা নাকের সোয়াব সংগ্রহ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ল্যাব টেকনোলোজিস্ট। ওই নমুনা নিয়ে আসা হয় ল্যাবরেটরির করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিনে। নমুনাগুলো প্রথমে ইনঅ্যাক্টিভেশন করা হয়। এই মেশিনে নমুনা আসার পর তা বিভিন্ন রিএজেন্টের মাধ্যমে তা প্রসেসিং করা হয়।


নমুনাগুলো প্রসেসিং করার পর করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কিটের মাধ্যমে রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ) বের করে আনা হয়। এরপর আরএনএ-এ কোষের নমুনা ল্যাবরেটরিতে রাখা আরেকটি এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিনের রাখা হয়। সংযুক্ত করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। এরপর বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিনে প্রস্তুত করা নমুনা নিয়ে আসা হয় রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিনে। এই মেশিনের সঙ্গে কম্পিউটার সংযুক্ত রয়েছে। কম্পিউটারে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের সফটওয়্যার চালু করা হয়। যদি নমুনা কোষে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলে, তখন কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে ওঠে, করোনাভাইরাস পজিটিভ। আর যদি নমুনা কোষে করোনাভাইরাস না পাওয়া যায়, তখন করোনাভাইরাস নেগেটিভ লেখা ভেসে ওঠে।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com