চীনের উহান শহর থেকে সূচনা করোনাভাইরাস রোগের। গত ৩১শে ডিসেম্বর এই শহরে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে প্রথম চীনের কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ই জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৫০০ মানুষ।
শুরুটা চীনে হলেও করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের২৬টি দেশে। করোনাভাইরাস নিয়ে তোলপাড় পুরো বিশ্ব। কিন্তু করোনাভাইরাসে যে আক্রান্ত আপনি, তা বুঝবেন কী করে। প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের প্রায় সব লক্ষণই সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো।
করোনাভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ:
১. জ্বর
২. শুকনো কাশি
৩. নিশ্বাস নিতে কষ্ট
৪. পেশিতে যন্ত্রণা
৫. ক্লান্তি
কম সাধারণ করোনাভাইরাসেরলক্ষণ:
১. বুকে কফ জমে যাওয়া
২. মাথা ব্যথা
৩. হেমোটাইসিস
৪. ডায়রিয়া
যে লক্ষণগুলি থাকলে বুঝবেন সাধারণ সর্দি-কাশি:
১. সর্দি
২. গলায় ব্যথা
যেহেতু করোনাভাইরাস লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে আক্রমণ করে তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শুকনো কাশি, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট, নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই গলায় ব্যথা থাকবে না।
ফ্লু এবং ঠান্ডা লাগার মধ্যে পার্থক্য:
সাধারণ ঠান্ডা লাগে, গলা খুসখুসে পাশাপাশি নাক দিয়ে পানি পড়া এবং কাশির মতো লক্ষণ দেখা দেবে। সঙ্গে হতে পারে মাথা ব্যথা ও সামান্য জ্বর। বেশ কয়েকদিন ভোগায় রোগীদের।
অন্যদিকে ফ্লু হলে মাথা ও গা-হাত-পায়ে ব্যাথা, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা ও প্রচন্ড জ্বর। জ্বর কখনও কখনও ১০৫ ডিগ্রি ফ্যারেনহাইটও ছাড়াতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
সাধারণ ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে দু-তিন দিনের মধ্যেই তা কমে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। অন্যদিকে ফ্লু হলে জ্বর কমতেই অন্তত এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]