শিরোনাম
সুস্থতার জন্য সবসময়ের অভ্যাস
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৭
সুস্থতার জন্য সবসময়ের অভ্যাস
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কেবলমাত্র অসুস্থ হলেই সুস্থ থাকার মর্ম হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভুগতে হয়, কষ্ট পোহাতে হয় কেবলমাত্র নিজেকেই। কিন্তু অসুস্থতা ভালো হয়ে গেলেই আবারো সব ভুলে পুরনো অভ্যাসে ফেরা হয়।


অথচ খুব চমৎকার ও সাধারণ নিত্যদিনের কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে শারীরিক সুস্থতা পাওয়া কঠিন কিছু নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি নিজের মানসিক চাপ ও অশান্তিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নতুবা কোনো উপকারই পাওয়া যাবে না নিয়ম মেনে।


খুবই উপকারী যে দশটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন বয়স ও লিঙ্গ ভেদে সকলের, জেনে নিন সে বিষয়গুলো।



প্রতিদন নিয়ম করে ঠিক একই সময়ে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার গ্রহণ করুন। সময়ের পরিবর্তনে শরীরে চাপের সৃষ্টি হয়, যা থেকে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে করে শরীরে ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটে।


খুব বেশি মানসিক অশান্তি ও অস্থিরতায় আছেন? প্রিয় ও পছন্দের কোন বই পড়ুন। এতে করে মন অন্যদিকে কাজ করবে ও কর্টিসল নিঃসরণের মাত্রা কমে যাবে।


চা পানের জন্য ফুটন্ত পানিতে টিব্যাগ ২-৩ মিনিটের বদলে ৫ মিনিট রাখুন। বিশেষত যদি গ্রিন টি পান করেন তবে অবশ্যই ৫ মিনিট রেখে এরপর সেই চা পান করবেন। এতে করে চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভালোভাবে পানিতে মিশ্রিত হবে।


গবেষক জানাচ্ছে, এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্ট অ্যাটাক, ক্যানসার, টাইপ-২ ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার হার কমাতে কাজ করে।


অফিসে দীর্ঘ সময়য়ের জন্য বসে থাকা হয় প্রায় প্রতিদিন। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন থেকে চেষ্টা করবেন প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর বসা অবস্থা থেকে দাঁড়িয়ে যেতে ও বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে। দীর্ঘসময় বসে থাকার ফলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটা।


খাদ্যাভ্যাসের মাঝে যদি কোন পরিবর্তন আনতে চান, তবে প্রথমেই মাংস গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, আপনি ৪ টুকরো মাংস খান। এখন থেকে চেষ্টা করুন ২ টুকরো খাওয়ার। বাকি দুই টুকরোর স্থানে রাখুন সবজি ও ফল।


প্রতিদিন একটি আপেল, চিকিৎসককে দূরে রাখতে সাহায্য করবে- বহু পুরনো এই কথাটাই নতুনভাবে আবারো মনে করিয়ে দেওয়া হলো। ফলের মাঝে আপেলের বিকল্প নেই। এই ফলের স্বাদ সবার কাছে ভালো না লাগলেও, এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অতুলনীয়।


প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক চাপ, চারদিকের সবকিছু খুব বেশি অস্থির করে তুলছে? বই পড়তে, গান শুনতেও ইচ্ছা করছে না? বাম হাত শক্তভাবে মুঠি করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আবার খুলুন, আবার বন্ধ করুন। খুব সহজ এই পদ্ধতিতেই খেলোয়াড়রা নিজেদের শান্ত রাখেন ও মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করেন।


অফিসে কাজের পাহাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন, অস্থিরতায় কর্টিসলের মাত্রা বেড়েই চলেছে। চটজলদি ইউটিউবে ফানি ক্যাট ভিডিও দেখে ফেলুন। পনের-বিশ মিনিট সময় ব্যয় করুন এমন মজার ভিডিও দেখে। এরপর আবারও কাজের সমুদ্রে ঝাঁপ দিন।


সাইকোলজি টুডে জানাচ্ছে, গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে বিড়ালের মজার ভিডিও মানসিক অস্থিরতা কমাতে কাজ করে ও আবারো কাজ করার উদ্যম ফিরিয়ে আনে।


হুটহাট ছোটখাটো ক্ষুধাভাবকে তাড়াতে বেছে নিন বাদাম। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সমৃদ্ধ বাদাম খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রদাহ কমাতে কাজ করবে।


সানস্ক্রিনকে ভুলে গেলে একেবারেই চলবে না। খুবই প্রয়োজনীয় এই জিনিসটিকে প্রতিদিনের ব্যবহার্য অনুষঙ্গের মাঝে অবশ্যই রাখতে হবে।


প্রচুর পানি পান করুন


এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণের পানি পান করুন। পানির কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন ঘামের সাথে প্রচুর পানি ও লবণ আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। আর তাই প্রতিদিন ৬ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন।


রসালো ফল খান


প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন প্রচুর রসালো ফল। রসালো ফল আপনার শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজের অভাব দূর করবে। এবং এই গরমে আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করে কাজের শক্তি যোগান দেবে।


প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সবজি


প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে সবজি রাখুন এবং তরকারিতে ঝোল রাখুন। এসময় যতটা সম্ভব কষা রান্না পরিহার করুন। শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয় বলে ঝোল জাতীয় খাবার থাকা খুবই দরকার।


মাংস খাওয়া পরিহার করতে হবে


অতিরিক্ত মাংস খাওয়া শরীরের জন্য এমনিতেই ক্ষতিকর। প্রতিদিন মাংস গ্রহণ শরীরে জন্ম দেয় নানা রোগের। আমাদের শরীরের বেশিরভাগ রোগের অন্যতম কারণ প্রতিদিন মাংস খাওয়া। তাই প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে নিজের এবং পরিবারের মাংস খাওয়া পরিহার করুন।


কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন


কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার আমাদের শরীরকে স্থূলকায় করে তোলে। জানলে অবাক হবেন ডায়াবেটিস-এর মতো ভয়াবহ রোগের অন্যতম কারণ এই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণ। তাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারকে না বলুন। না, একেবারে না নয় কিন্তু! পরিমাণ মতো খান ও সুস্থ থাকুন অনেক দিন।


সুস্থ না থাকলে জীবনকে আপনি উপভোগ করবেন কীভাবে? জীবনকে কি উপভোগ করা যায়? না যায় না। তাই আমরা বলি স্বাস্থ্যই সব সুখের মূল। স্রষ্টার দেয়া একটা বড় আশীর্বাদ হলো সুস্থতা। সূত্র: সাইকোলজি টুডে


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com