শিরোনাম
তাহমিদ বদরুল আর আমাদের টকশোজীবীরা
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:১২
তাহমিদ বদরুল আর আমাদের টকশোজীবীরা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গুলশান হামলায় জড়িত তাহমিদ জামিন পেলো। এই ব্যাপারে তো কোনো টকশোজীবীদের সমালোচনা করতে দেখলাম না। অথচ বদরুলের জন্য পুরো ছাত্রলীগের সমালোচনার ব্যানারে পোস্টমর্টেম করতে দেখলাম একটি টিভি চ্যানেলে!


আমি বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাইছি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কি এই নরপিশাচকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে যে আপনারা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের পরেও বারবার জোর দাবি করছেন যে এই ছেলেটিকে নিয়ে। তার বিচারিক প্রক্রিয়ায় কী ছাত্রলীগ হস্তক্ষেপ করছে?


উপরন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন মঙ্গলবার দুপুরেই মেয়েটির চাচা এবং মামার সাথে সাক্ষাৎ করে ‘পরিবারের পাশে ছাত্রলীগ আছে এবং থাকবে’ মর্মে আশ্বস্ত করেছেন এবং ওই নরপিশাচের শাস্তি দাবি করছেন; এমনকি গণমাধ্যমের সাথে কথাও বলেছেন।


আমার প্রশ্ন হলো আপনারা চ্যানেলের কোন টকশোজীবী মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকবেন বলে একবার সশরীরে এসে আশ্বস্ত করেছেন বা এক ব্যাগ ব্লাডের ব্যবস্থা করে দিয়ে আশংকাময় পরিস্থিতিতে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন? ‘নিজে কাজ করবো না আবার অন্যকে করতেও দিবো না’ এই নীতি আজ সর্বত্র!


টিআরপি রোগে আক্রান্ত আপনাদের মতো টকশোবিদদের চেয়ে ছাত্রলীগের একজন কর্মী উত্তম। কেননা সাধারণ মানুষ যখন ঘটনা ভিডিও করছিল, তখন ছাত্রলীগের ইমরান ও ছেলেরা এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।


আর এই ছাত্রলীগের কর্মীরাই হাসপাতালে ছুটে এসে ভোরবেলা থেকে ব্লাডের ব্যবস্থা করছে, ছুটাছুটি করছে। আপনারা এসিরুমে বসে শুধুই সমালোচনাই করলেন! রাত পর্যন্ত হাসপাতালে কোনো এমন বিশিষ্ট সুশীলদের খোঁজ নিতে আসতে দেখিনি!


আন্তরিকতার অভাব দিনে দিনে সুশীল সমাজেই বাড়ছে। কিন্তু ছাত্রসমাজ এখনো মনুষ্যত্বের আলোকে উজ্জ্বল।


অপরাধী মাত্রেই অপরাধী; তার একটাই পরিচয়। তার অন্য পরিচয় যারা দিতে ব্যতিব্যস্ত, তারা জঙ্গি তাহমিদ প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটে রাখেন কেন?


অতি উৎসাহী তথাকথিত চ্যানেলের এসব টকশোর একদিনের বিজ্ঞাপনের টাকা দিয়ে মেয়েটির পরিবারকে অন্তত চিকিৎসার সাহায্য করতেন বা যারা সমালোচনামুখর; আপনার ব্যক্তিগত কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে অন্তত ২-৪ লাখ টাকা দিয়ে সাহায্য করেও তো দেখাতে পারতেন মহানুভবতা। এরপর তর্ক বিতর্ক করতেন! (আমি এখানে গুটিকয়েক টিভি চ্যানেলের টকশোর কথা বলছি, সবাইকে বলিনি)।


সমালোচনা করুন তবে গঠনমূলক। অহেতুক জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। সংবাদ হোক মানবিকতার স্বার্থে, প্রতিযোগিতার স্বার্থে নয়! খাদিজাকে বাঁচাতে না পারলে দায় আপনার আমার সবার। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বিশেষের অহেতুক তর্কে কিছুই হাসিল হবে না।


ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন, খাদিজা আক্তার নার্গিস যেন সুস্থ হয়ে উঠে।


ফারজানা আক্তার সুপর্ণার ফেস বুক থেকে


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com