
আওয়ামী লীগ সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষীরা কি বুঝতে পারছেন কিছু? চালক ও হেল্পারদের গ্রেফতারের পরেও বিক্ষোভ থামছে না, বরং বেড়ে চলেছে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা নেমে আসছে রাস্তায়। পুলিশকে আমি এককভাবে দায়ী করছি না। কিন্তু ছাত্রীদের গায়ে পুলিশ হাত তুলছে, ছাত্রদের মারছে, রক্তমাখা শার্ট, জুতা এগুলো খুবই স্পর্শকাতর ছবি। মানুষ মানতে চাইবে না। অভিভাবকরাও খুব ক্ষুব্ধ হবে স্বাভাবিক।
শাজাহান খান এখন মুখ বেজার করে মাফ চাইলেও মানুষ মানছে না। ওবায়দুল কাদের আজ কথা বলেছেন। কিন্তু স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা মনে হয় না উনার কথা শুনেছে বা শুনবে। মানুষ রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করছে না, এটাও ভালো কথা নয়।
স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাও আর আগের জায়গায় নেই যে, উনাদের কথা ছেলে-মেয়েরা শুনবে। শিক্ষকদের কেউ আর বিশ্বাস বা শ্রদ্ধা করে না। পুলিশ দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এমন কিছু কাজ করতে হবে সরকারকে যাতে সড়ক নৈরাজ্য প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে। এর জন্য দরকার ছিল দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। কিন্তু সত্য হলো, এমন কোনো ইচ্ছা বা পরিকল্পনা এখন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নেই।
তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের কীভাবে ক্লাসে ফিরিয়ে আনা যায়?
কারণ, নতুন প্রজন্ম এভাবে রাস্তায় নেমে গেলে তাদের জন্যও এটা মঙ্গলজনক নয় । ওদিকে সরকারবিরোধীরা তৎপর আছে, এই সুযোগে বড় ধরনের নাশকতা করে সরকার ফেলে দেয়ার স্বপ্নে। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়েও এমন জগাখিচুড়ি বানিয়ে ছেড়েছে জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদ আর আমলারা।
শিক্ষামন্ত্রীর কি কোনো দায়িত্ব নেই এই বাস্তবতায়? তার কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কী ভাবছে জানি না। সবাই শেখ হাসিনার মত দেশকে ভালোবাসে না, তাই উনাকে ভালোবাসি, উনার ভালো চাই । বাচ্চারা যাদেরকে বিশ্বাস করে তাদেরকে ক্রাইসিস ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করা হোক। আর বাসমালিক, চালক, হেল্পারদের সব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
শেখ আদনান ফাহাদের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ
কারওয়ান বাজার (৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২১৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: bbartanational@gmail.com, info@bbarta24.net