শিরোনাম
হলি আর্টিজান : অন্ধকার শক্তির উত্থান, বাংলাদেশের কালোদাগ!
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০১৮, ১৭:০৯
হলি আর্টিজান : অন্ধকার শক্তির উত্থান, বাংলাদেশের কালোদাগ!
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির দুই বছর পূর্ণ হলো আজ। জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণ করতে ঘটনার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে হাজির হয়েছে নিহতদের স্বজন, শুভ্যানুধ্যায়ী, বিভিন্ন দূতাবাস, ব্যক্তি, সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীসহ স্মরন করছে বাংলাদেশ। ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সাক্ষী গুলশানের যে বাড়িতে হলি আর্টিজান বেকারি ছিল, ছিল দেশ-বিদেশি লোকের আড্ডাস্থল সেখানে আজ সুনসান নীরবতা!


ওইদিনের দুঃসহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারে না দেশের বহু মানুষ। গুলির শব্দ, চিৎকার আর বেকারির মধ্যে রক্ত আর লাশ… যেন বাংলাদেশের বুকে এক কালোদাগ একে দিল এক মুহূর্তে। এক কালো শক্তির উত্থান দেখলো বাংলাদেশ।


অবাক হই, এত বড় ভয়াবহ ঘটনার বিচার কি পাবে স্বজন হারানো মানুষগুলো? নাকি নাটকীয়তা দেখতে দেখতে পার হতে থাকবে বছরের পর বছর। তবে এক বছরে ৬০০ জঙ্গির জামিন বলে দেয় আরো কিছু ঘটনা দেখতে হতে পারে আমাদের! বিত্তশালী পরিবারের জঙ্গি সন্তানদের নিয়ে রাষ্ট্রের আপস বলে দেয় আমরা উল্টো পথে হাটছি! কাউকে কাউকে আবার গল্প ফেঁদে হিরো বানানো হয় শক্তিমান মিডিয়াতে!


হ্যা, নেপথ্যের কুশীলবদের মধ্যে তামিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন ধরা পড়েছে। কেউ কেউ মারাও পড়েছে। কিন্তু ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যসহ অনেক জঙ্গি বাইরে আছে। তারা বিভিন্ন মুখোশে আশ্রয় নিচ্ছে রাষ্ট্রের ভিতরে বাহিরে একথা কে না জানে ।


আমাদের মনে আছে, হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির আগে রাষ্ট্রের একটি সংস্থার প্রধান বেশ জোর দিয়ে গলার উচু স্বরে বলেছিলেন, দেশে জঙ্গি সমস্যা নেই। সব নির্মূল করে ফেলেছি! আসলে কি তাই?


মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, কতটা নির্মূল করা গেছে বলবেন কি সেই মহান কর্মকর্তা? আমরা সবাই জানি মাদকের অর্থ জঙ্গিবাদে ব্যবহার করা হচ্ছে, দেশের বাইরের বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থার নামে জঙ্গি অর্থায়ন হচ্ছে - সেটি বন্ধের কি আয়োজন। কিছু লোক আর মিডিয়া দেখানো কর্মকাণ্ড ছাড়া তেমন কোনো কিছু চোখে পড়েনি!


বারবার আমরা চিৎকার করে বলেছি, এই দেশে জঙ্গিদের নির্মূল করতে গেলে সবার আগে স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবিরের শিকড় উৎপাটন করতে হবে। তাদের অর্থের যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। তাদের এই দেশে নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে। রাজাকারের তালিকা করতে হবে। তাদের সন্তানদের নাগরিক অধিকার সংকোচন করে সরকারি চাকরি দানে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের কথা রাষ্ট্রকে নাড়া দেয়নি! আমাদের চিৎকার তাদের মর্মমূলে পৌঁছায়নি! যেভাবে মগজ ধোলাই দিয়ে তরুণদের তারা আকৃষ্ট করছে এবং অন্ধকার জগতে প্রবেশ করাচ্ছে, তাতে সামাজিক রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা ছাড়া এদের নির্মূল অসম্ভব।


আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র মানুষের মিলিত প্রতিরোধই পারে এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াইটা জারি রাখতে। মানবতার জন্য-মুক্তিযুদ্ধের জন্য-প্রগতির জন্য একত্রিত হোন। একত্রিত হোন সম্প্রীতির বাংলাদেশের জন্য, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। ভুলে যাবেন না- ভালো মানুষদের অনৈক্যের ফলাফলটা পাল্টে দিতে পারে সব ইতিহাস-সব অর্জন।


আমরা ভাষা আন্দোলন করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি , যুদ্ধাপরাধীর বিচারও করছি, এবার জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করবো।


জয় বাংলা।


এফ এম শাহীনের ফেসবুক থেকে


বিবার্তা/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com