বাসার পেছনে আসা মাছরাঙার নাম দিয়েছে 'মন্টুমিয়া'। স্বচক্ষে দেখেনি, শুধু ছবিতেই দেখে এবং মাছরাঙার অভুক্তি বিষয়ে আমার দুশ্চিন্তায় সাড়া দিয়ে, খিলগাঁও বাজার থেকে রাতের বেলায় বালতিতে করে লাফানো-ঝাঁপানো তেলাপিয়া আর পুঁটি মাছ এনেছে মন্টু।
মাছরাঙার খাদ্য ছাড়াও এনেছে আমাদের খাদ্য পুড়পুড়ি (চচ্চড়ি) খাওয়ার জন্য তাজা ট্যাংরা, একটা পাকা পেঁপে ইত্যাদি। যে মাছগুলো এতখানি রাজপথ পরিভ্রমণ করে কিছুটা নেতিয়ে গিয়েছিল, তারাও আবিয়া বেগমের ঢোসকায় (মাটির পাত্র) রাখার পর তিড়িং বিড়িং লাফ দিতে শুরু করলো। সেগুলোকে আবার বালতিতে তুলে পেছনের ছোট্ট পুস্কুনিতে ঢালা হলো।
আজ সকালে দেখি মাছ রীতিমত খলবলাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন পানিতে ঝড় উঠেছে। মাছ গুলিকে কী খেতে দিতে হবে, এ বিষয়ে মন্টু কী যেন পরামর্শ দিয়েছিল, আবার জানতে হবে!
মন্টুর সাথে কতদিনের বন্ধুত্ব হিসেব নেই। সেই কৈশোর থেকে। বাড়ি থেকে পালিয়েও যেতো। সে খোঁজ খোঁজ খোঁজ। স্কুল জীবনে 'খেলাঘর' আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ‘স্বরিত’ তে কবিতা পড়া। আহা কতটা পথ একসাথে যেতে যেতে চুল পাকছে আমাদের!
আমাদের চল্লিশ প্লাস বছরের বন্ধুত্বে কস্মিনকালেও যেভাবে মাথায় আসেনি, সে কথা একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে এখন রক্সি পেইন্টের সৌজন্যে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের দেয়ালে লেখা থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও রক্সি পেইন্টকে নানা রঙিন বার্তা লেখার জায়গা দেয়া হয়েছে।
Roxy Paints Ltd এর তো চারপাশটা রঙিন করার কথা। এমন অন্ধকার করে তুলছে কেন?
গীতিআরা নাসরিনের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]