শিরোনাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমাদের অনুভূতি
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৬, ১১:৪৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমাদের অনুভূতি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাঙালি খুবই অনুভূতিপ্রবণ জাতি। অপেক্ষাকৃত দুর্বল কেউ কিছু বললেই তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে! এবং সে অনুভূতি প্রায় অর্গাজমের পর্যায়ে চলে যায়। ‘আঘাতকারীর’ ওপর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার না করা পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দেয়া চলে না কিছুতেই। কিন্তু প্রবলতর কেউ কিছু বললে গায়ে লাগাতো দূরের কথা, উঠতে বসতে লাথি মারলেও সে টেরই পায় না। এদিক ওদিক তাকিয়ে পেছনের ময়লা ঝেড়ে ফেলে ভাবখানা এমন যেন কিছুই হয়নি! এ চর্চা যেন ব্যক্তি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত। সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিলেও আমাদের নিজেদের চরিত্র যে জাতীয় চরিত্র থেকে আলাদা সে দাবি করতে পারি না!


কোথাকার কোন হরিদাস সুশান্ত পাল কিছু ফলোয়ার বাড়ানোর ধান্দায় টাইমলাইনে কিছু গাঁজাখুরি কথা পোস্ট করল, অমনি জেগে উঠল আমাদের অনুভূতি! চারিদিকে রৈ রৈ আওয়াজ তুলে সেকি হুলুস্থুল কাণ্ড!!


আর পাশের বড় দেশের ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ নামে এক কথিত শীর্ষ বাংলা দৈনিক বলে দিল, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস তৈরির আঁতুড়ঘর!! কোন ধরনের প্রমাণতো দূরের কথা, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছাড়াই এমন শিরোনামের একটি নিউজ কিভাবে প্রকাশ করা যায় তা পাঁচ বছর সাংবাদিকতা পড়ে বা সাড়ে তিন বছর সাংবাদিকতা করে আমার বোধগম্য হল না। এবং আমার জানা মতে আমাদের কয়েকজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকসহ অনেকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবং তা যৌক্তিকভাবেই। তবে বেশিরভাগ শিক্ষকই মুখে কুলুপ আঁটা! অবশ্য নিজের বেতন-ভাতার প্রশ্ন ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ‘বাজে কথা’ খরচ করতে খুব একটা দেখা যায় না।


কিন্তু একেবারে ‘সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর’ ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া ভয়াবহ এক কথা; পত্রিকার সংবাদ হিসেবে প্রকাশ হওয়ার পরও আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমজনতা মানে শিক্ষার্থী তাদের ভাবখানা এমন যেন কিছুই হয়নি! কারো মুখে রা টি নেই! এখন আমাদের অনভূতি বলতে কিছুই নেই, সবাই যেন রোবট! আর ক্যাম্পাসের সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর কথাতো বাদই। নির্দিষ্ট এজেন্ডার বাইরে তারা কখনও কিছু করেছে বলে দৃষ্টিগোচর হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।


সে দৈনিকের ‘সংবাদে(!)’ আরও যে ‘দেড় ডজন’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তাদের কথা আর বলে কী হবে? তারা প্রতিবাদ শব্দটির সঙ্গে সম্ভবত খুব ভালোভাবে পরিচিতই নয়।


সাখাওয়াত আল আমিনের ফেসবুক থেকে


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com