ক‌য়েক হাজার মানুষ‌কে হত্যা করা হ‌য়ে‌ছে, শরণার্থী হি‌সেবে বাংলা‌দে‌শে আশ্রয় নিয়ে‌ছে চার লা‌খেরও বে‌শি মানুষ, যার ম‌ধ্যে আড়াই লাখ শিশু। আর ঘটনার প্রায় এক মাস পর এসে অং সান সু চি কী না বলেন, ‘রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’

হাস্যকর। আপনার নাগ‌রিকরা পা‌লি‌য়ে যা‌চ্ছে, না বেঁ‌চে থাকার তা‌গি‌দে উদ্বাস্তু হ‌চ্ছে সেটা আপ‌নি এখ‌নো জা‌নেন না? আর কবে খুঁ‌জে বের করবেন?

আপ‌নি ব‌লে‌ছেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’ এই তাহ‌লে আপনার শান্তির নমুনা!

আপ‌নি ব‌লেছেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই।’ এতো বড় গণহত্যার পর আপ‌নি নিন্দা জানাচ্ছেন শুধু!

আপনি বল‌ছেন, কোনো ব্যবস্থা নেয়ার আগে অভিযোগগুলো যে তথ্য-প্রমাণনির্ভর, তা নিশ্চিত করতে হবে। হাস্যকর। আর কতো মানুষ মর‌লে, কতো লাখকে শরণার্থী কর‌লে আপনার তথ্য প্রমাণ পাওয়‌া হ‌বে?

আপনার এসব ফালতু কথা শুনতে চাই না। রাজনী‌তি, কূটনীতি মেলা করছেন। আমরা শুধু চাই যে আট-নয় লাখ রো‌হিঙ্গা বাংলা‌দে‌শে আছে তাদের ফেরত নিন। আর সবার নাগ‌রিকত্ব নি‌শ্চিত ক‌রে অবাধ চলাচ‌লের সু‌যোগ দিন। সেটা যতোদিন না হয় বিশ্ব‌কে বল‌বো, দয়া করে বাংলাদেশের পাশে থাকুন, যাতে করে উদ্বাস্তু মানুষগুলোকে আমরা নতুন জীবন দিতে পারি।

শরীফুল হাসানের ফেসবুক থেকে

বিবার্তা/মৌসুমী