সুকুমার রায়ের লেখা কবিতায় ছোটবেলায় পড়েছি, ‘মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার’। বেয়াড়া প্রশ্নগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তবুও। এখন যেমন দিচ্ছে সাকিব-ইস্যুতে। দেখি, কারো কাছে জবাব আছে কিনা?
প্রশ্ন নং ১ : সাকিব কি জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম না নিয়ে বিপিএল, সিপিএল, আইপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল-এর মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সময় এই বিশ্রামটা নিতে পারতেন না?
প্রশ্ন নং ২ : এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের চেয়ে টেস্ট খেলে যদি বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকত, তাহলে তিনি কী করতেন?
প্রশ্ন নং ৩ : টেস্ট থেকে বিশ্রাম না নিয়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি থেকে বিশ্রাম কি চাইতে পারতেন? বিসিবি তখন তা মেনে নিত?
প্রশ্ন নং ৪ : অন্যান্য দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তুলনা করে বেশি টেস্ট খেলতে না পারার জন্য সাকিবসহ আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা প্রায়ই যে হা-পিত্যেশ করেন, তা কি কেবলই লোকদেখানো?
প্রশ্ন নং ৫ : সামনের ছয় মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার টেস্টে সর্বেোচ্চ ২০ দিন (আসলে হয়তো ১৫ দিন) মাঠে থাকতে হবে। বিভিন্ন পণ্যের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে শ্যুটিংয়ে এবং এ সংক্রান্ত চুক্তির আরো নানা বাধ্যবাধকতায় সাকিবকে ব্যস্ত থাকতে হবে ওই ১৫ দিনের চেয়ে বেশি না কম?
প্রশ্ন নং ৬ : সাকিবের উদাহরণ দেখিয়ে কাল তামিম, পরশু মুশফিক, পরের দিন মুস্তাফিজ যদি বিশ্রাম চায়, তখন বিসিবি কী করবে? অথবা সবাই যদি ছুটি চায় একসঙ্গে, তখন?
প্রশ্ন নং ৭ : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দুই টেস্টের জন্য ‘ছুটি’ দেয়া হয়েছে সাকিবকে। তবে বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাচক দুজনই বলছেন, সাকিব চাইলে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবে।
তা ও তো ছুটিই চেয়েছে, আবার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে চাইবে কেন? বিসিবির এ অবস্থান কি তাদের অসহায়ত্বই স্পষ্ট করে না?
আরো অনেক প্রশ্ন আছে আমার। জবাব আছে কারো কাছে? যদিও জানি, শেষ পর্যন্ত সুমনের গানের ওই কথাগুলোই সত্য, ‘প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো জানা’...
নোমান মোহাম্মদের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]