সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তুলে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর । এরা কাতারের বিরুদ্ধে স্থল, নৌ ও আকাশপথে অবরোধ আরোপ করে।
এর আগে মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরব যান এবং তাকে মহারাজার সংবর্ধনা দেয়া হয়। সে সময় ট্রাম্প সৌদিতে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের ঘটনায় ট্রাম্প বলেছিলেন, এটা ভালো হইছে। সন্ত্রাসবাদের মদদদাতার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে হইবো।
কাতার নাকি ইসলামী জঙ্গিদের সাহায্য করতাছে। সৌদি বলছে, আল জাজিরা বন্ধ করে দিতে হইবো।
মোটামুটি কাতার নিয়ে গত তিন মাস ধরে সৌদি আর আম্রিকার এমন ইঁদুর-বিলাই খেলা চলতাছে।
সর্বশেষ খবর হইলো, মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ঘোষণা করেছে। চুক্তির ঘোষণা দেয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সংকট নিরসনে কাতারের অবস্থানকে ‘যৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী।
এতোসব ঘটনায় যা বুঝলাম, আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র সৌদিও কিনবে,কাতারও কিনবে। ট্রাম্প ট্রাম্পকার্ড খেলবেন। সহসাই আইএস শেষ হবে,খেলাফতও শেষ হবে। যেমন শেষ হয়েছিলো আল কায়দা। লাদেন।
আইএস মিশন শেষ। বাগদাদী শেষ। এর পর নতুন নিশানা তেলের রাজ্য সৌদি আর কাতার।
লাগ ভেলকী লাগ। তেলের ভেলকী লাগ।
পাশের দেশে গরু নিয়ে মানুষ পিটিয়ে মারে। সেখানে মানুষের চেয়ে গরুর মর্যাদা বেশি। নিজ দেশে প্রতিদিন মুর্তি ভাঙ্গে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এখানে অন্যের অনুভূতির কোনো সম্মান নেই। কোথাও ধর্মের নামে, জাতির নামে, সম্প্রদায়ের নামে মরছে নিরপরাধ মানুষ। নিস্পাপ শিশু।
সবকিছু দেখছি,বুঝছি। কিন্তু বসে আছি নির্বাক হয়ে। দাঁড়াতে পারি না মানুষের হয়ে। পাছে আমারও যদি কিছু হয়ে যায়?
কিন্তু এভাবে আর কদ্দিন? শুভবুদ্ধির মানুষ কি জাগবে না? নিজ দেশে? বিশ্বের অন্য কোথাও?
ডাকের অপেক্ষায় আছি।
শঙ্কর মৈত্রের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]