ফারুক, জীবন দিয়েছে;
প্রাপ্তি : পরিবারের খোঁজ রাখেনি কোনো নেতা! বোনের চাকরিটাও স্থায়ী হয়নি।
বাদশা, মারাত্মকভাবে আহত;
প্রাপ্তি : নামের প্রতি চরম অবিচার, বিশ্ববিদ্যালয় পাশ বেকার, অন্যের জমিতে বর্গাচাষী, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন!
তুহিন, মারাত্মক আহত, স্থায়ী অঙ্গহানী ও পঙ্গুত্ব!
প্রাপ্তি : বিশ্ববিদ্যালয় হতে আজীবন বহিষ্কার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক হয়েও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কোনো পদের জন্যই বিবেচিত না হওয়া!
আরো আছেন- তাকিম, লেলিন, আসাদ, মাসুদ, টগর, সাদ্দাম প্রমুখ।
নামগুলো যেন আজ স্রোতের পরিক্রমায় হয়ে বিলীন হচ্ছে ধীরে ধীরে। কেউ ভালো নেই, অভিশপ্ত পঙ্গুত্ব, আঘাতের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে নিজের মতো আছে লোকচক্ষুর আড়ালে। কেউ খোঁজ রাখেনি ওদের। অথচ ওদের জীবন, রক্ত, বীরত্ব, অসম সাহসিকতার বিনিময়ে শিবিরের শক্তিশালী দুর্গসম ঘাঁটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রাঙ্গণে শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকা উড়েছিল!
দল ক্ষমতায় আজ সাড়ে আট বছর! তাহলে তো ওদের থাকার কথা ছিল সবচেয়ে ভালো। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত ছিল, সবার আগে ওদের ত্যাগের মূল্যায়ন করা, ওদের ভালো-মন্দের দেখভাল করা, ওদের দায়িত্ব নেয়া।
প্রয়োজন ছিল এমন উদাহরণ সৃষ্টি করা, যাতে অদূর ভবিষ্যতে এহেন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবার কেউ তুহিন-তাকিম হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার অনুপ্রেরণা পায়! আদর্শের অস্তিত্ব যেন ফের হুমকির মুখে না পরে!
আচ্ছা, কেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন মেধাবী ছেলে বাবা-মায়ের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে একটি আদর্শের অস্তিত্ব বাঁচানোর তরে জীবন বাজি রেখে লড়বে? বিনিময়ে সে আদর্শের ঠিকাদাররা তাদের কি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে?
কর্তা, খুব জানতে ইচ্ছে করছে! এই দিন তো দিন নয়, আরো দিন আছে!
গোলাম রাব্বানির ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]