লড়াইটা খুব স্পষ্ট করে নামতে হবে। এ পর্যন্ত কোনো ধর্ষণ মামলার কী বিচার বা রায় হয়েছে? যতগুলো হত্যা, ধর্ষণ ঘটানো হয়েছে সেগুলোর যদি বিচারকার্য সঠিকভাবে সমাধা করা না যায়, তাহলে এই সমাজ হয়ে উঠবে বসবাসঅযোগ্য একটি দেশ। পুলিশের মুখে আমরা মেয়েদের কেমনভাবে চলা উচতি তা শুনতে অভ্যস্ত নই। পুলিশের কাজ হচ্ছে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া।
যে পিতা তার সন্তানের কুকর্মকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার মতো মানসিকতা বহন করে, সেসব পিতা-মাতাদের সমাজের সামনে উন্মোচন করা দরকার। ধর্ষণ হচ্ছে পুরুষতন্ত্রের সর্বোচ্চ অস্ত্রের ব্যবহার। একে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এখুনি সেটা উত্তম সময়। বনানীর ঘটনা হতে পারে আমাদের জন্য জেগে ওঠার একটি বার্তা।
চলুন আমরা জেগে উঠি একসাথে, সমস্বরে চিৎকার করে বলি আমার সমাজ ধর্ষণকে স্বীকৃতি দেয় না, ধর্ষণনির্ভর পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে উপড়ে ফেলি এখুনি। চিৎকার করতে হবে পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে, যে পুরুষতন্ত্রকে রাষ্ট্র প্রশ্রয় দেয়, সেই রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে।
লীনা পারভীনের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]