আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ নির্মাণ ও সার্বিক সাজসজ্জা দেখতে আমি ৪/৫ দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছি। প্রতিদিন হাজারো নেতা-কর্মীর সমাগম, চারিদিকে সাজ সাজ রব, উৎসব আমেজ, আলোর ঝলকানি। হবেই বা না কেন! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন বলে কথা!

রনবী স্যারের ডিজাইনে করা মঞ্চটা অদ্ভুত সুন্দর হয়েছে। সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটা সেলফি তুলেছি, তবে তা আর ফেসবুকে পোস্ট করা হয়নি। এমনিতে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক যে কোনো ইস্যুতে ছবি তুলতে আর তা সাথে সাথে পোস্ট করতে আমার যে আগ্রহের কোনো কমতি নেই, সে সম্পর্কে আমার ভার্চুয়াল বন্ধুরা বেশ ওয়াকিবহাল!

এই ভাই-সেই ভাই আর সিনিয়র নেতাদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে ৫০ জনকে ট্যাগিয়ে শর্টকাট সস্তা রাজনীতি করার নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে পটাশ পটাশ ফ্ল্যাশ মারা নব্য নাদানে সয়লাব ফেসবুক টাইমলাইনে তাই নিজের সেলফি দেয়ার আগ্রহ পেলাম না!

হাল রাজনীতিতে না হয় একটু পিছিয়েই গেলাম, তাতে ক্ষতি নেই! উদ্যানে সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছি প্রাণের টানে, ভালবাসার ডাকে! আমি বিরাট অ্যাকটিভ পলিটিকাল - এই সস্তা প্রচারের অভিপ্রায়ে নয়!

দলের জন্য আমরা কতটা অন্তঃপ্রাণ, উদ্যানের উৎসবের মাঠে নয়, ক্রান্তিকালে রাজপথে তা দেখাই। অতীতে এর প্রমাণ দিয়েছি, ভবিষ্যতেও ব্যতিক্রম হবে না, ইনশাল্লাহ।

যা-ই হোক, এই যে আমি সম্মেলনের প্রস্তুতিযজ্ঞে নেতাদের সাথে দাঁড়ানো কোনো সেলফি বা ছবি পোস্ট করলাম না। এখন এই হাল রাজনৈতিক সমাজ কি আমাকে মেনে নেবে?

গোলাম রাব্বানির ফেসবুক থেকে

বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন