রাত থেকে বার বার মনে হচ্ছে-জীবনটা খুব ছোট। ধরুন, ডাক্তাররা আপনাকে সময় বেঁধে দিলো আর এক মাস বাঁচবেন। জেনে যাবার পর তখন হয়তো হিসেব করবেন, এক মাসে কি কি করা সম্ভব- বাঁশি বাজানো শেখা সম্ভব কিনা এক মাসে? কিংবা প্রিয় মানুষগুলোর সাথে চমৎকার কিছু সময় কাটানো।
কিন্তু সেকি আর সম্ভব হয়! মা হয়তো আর আগের মতো পড়াশুনার জন্য বকা দেয় না; ছোট ভাইটা আর টেলিভিশনের রিমোর্ট নিয়ে ঝগড়া করে না, বন্ধু-বান্ধবীরা আড্ডায় দেরীতে গেলে কিছু বলে না।
এই ধরনের সিচুয়েশন বোধকরি জীবনের খুব বেসিক একটা ব্যাপার অন্যদের জানিয়ে যেতে পারে।
জীবন ছোট হতে পারে, তবে সেই ছোট জীবনটা যেন অন্তত উপভোগ্য হয়।
আমরা যারা এখনো এই পৃথিবীতে বেঁচে আছি, তারা কারণে-অকারণে নিজেদের জীবনকে জটিল করে তুলি।
কেউ হয়তো বাবা-মাকে কোনো কারণ ছাড়াই কষ্ট দিচ্ছে, কেউ আবার ভালোবাসার মানুষকে। কেউ হয়তো বিনা কারণেই নিজে নিজে কষ্ট পাচ্ছে। আমরা হয়তো ভাবছি সমস্যা কি, কাল কিংবা পরশু না হয় আর অন্যকে কষ্ট দিবো না কিংবা নিজে কষ্ট পাবো না।
ধরুন হঠাৎ এমন একটা রোগ হলো, তাতে আপনাকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এরপর শারীরিক সমস্যার চাইতে হয়তো মানসিক কষ্ট-ই বেশি পেতে হবে। বেঁধে দেয়া এক মাসের চাইতে হয়তো কিছু সময় বেশিই আপনি বেঁচে থাকলেন, কিন্তু সেই বেঁচে থাকা হয়তো হবে প্রতি মুহূর্তে একবার করে মৃত্যুর মতো।
পৃথিবীতে আমরা খুব কম সময়ের জন্য আসি। তাই যখন যা করতে ইচ্ছে করে, সেটা যদি সামর্থ্যের মাঝে থাকে এবং তাতে যদি অন্যে কোন মানুষের ক্ষতি না হয়; তাহলে সেটা করে ফেলাই ভালো। নইলে হয়তো এক জীবনে ছোটখাটো ইচ্ছেগুলোও আর পূরণ হবে না।
পৃথিবী একই সাথে বড্ড মায়াময় এবং খুব বেশি নিষ্ঠুর।
আমিনুল ইসলামের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]