
দিনে লোডশেডিং মেনে নেওয়া সহজ।
রাত ২টায়, রাত ৪টায় এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হওয়া মানে সকাল ৮টায় অফিসে গিয়ে ঝিমানো আর মাথাব্যথায় ভোগা।
সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ, ৮টার পরে সমস্ত শপিংমল বন্ধ তবু দিন-রাত মিলে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং!!
ব্যাখ্যা পাওয়া মুশকিল।
এতোটা লোডশেডিং এর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল কি?
সম্ভবত না।
ঢাকার চাইতে গ্রামের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কোথাও ভালো শুনি আবার কোথাও এর চেয়েও খারাপের কথা শুনি।
বিদ্যুৎ বিভাগের ব্রিফিং চোখে পড়ে না।
নিশ্চয়ই সবার বিদ্যুৎ এর প্রকৃত অবস্থা জানার অধিকার আছে।
প্রকৃত অবস্থা জানলে নাগরিকরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারে।
রাত ১২টায় শুয়ে ভোরবেলা অফিসে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠা মানুষকে যদি মাঝরাতে দুই ঘণ্টা সন্তানকে পাখার বাতাস দেয়ার জন্য জেগে থাকতে হয়, তবে সেটা অসহনীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
বাড়তি খরচ করার মতন বেশি টাকা না থাকলেও গতকাল চার্জার ফ্যান কেনার জন্য কয়েকটা শো-রুম ও দোকানে গিয়েছিলাম।
মার্কেটে চার্জার ফ্যান নেই।
কোনো ঘটনাজনিত এই যে অপ্রস্তুতি, তার দায়টা কি আমার ওপর বর্তায়?
রাষ্ট্রের সংকটে রাষ্ট্রকে সাপোর্ট দেয়া যেমন একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব, তেমনি মৌলিক চাহিদার কোনো বিষয়ের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে নাগরিকদের জানানোটাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
একজন নাগরিককে রাষ্ট্রের জন্য ঠিক কতটুকু স্যাক্রিফাইস করতে হবে, সে সম্পর্কে ঐ নাগরিকের ধারণা থাকতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন যথাযথ তথ্য।
শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ
ডেপুটি ম্যানেজার, বিসিআইসি
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]