‘পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন কানাডার আদালত। তারা বলেছে এই মামলা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ভবিষ্যতে এ ধরনের মামলা করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কও করা হয়েছে।’ কানাডার আদালতের এই রায়ে দেশের কত ভাগ মানুষ খুশি হয়েছে?
আজকে কানাডার আদালত যদি আমাদেরকে পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করে দিতে পারতো তাহলে কিন্তু আমাদের মিডিয়া, টক-শো, কার্টুনিস্ট সবাই একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়তো- ধর, ধর বলে।
আজকে সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেনকে মনে পড়ছে। কী চরম অপমাণ এবং দোষারোপ নিয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে- মন্ত্রিত্ব থেকে, রাজনীতি থেকে। ফিরে দেখলে বুঝা যাবে কী সুক্ষ্মভাবে ‘পারসেপশন’ তৈরি করা হয়েছিল।
‘ফ্যাক্ট’ আর ‘পারসেপশন’ প্রায়শই খুউব বিপরীতমুখী দু’টি শব্দ। পারেসেপশন খুব নির্মম পরিণতি ডেকে আনতে পারে যে কারও জীবনে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির দায় নিতে হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টাকেও।
কে হুড় তুলেছিল এবং কারা এদেরকে চিলের মতো ঠুকরে ঠুকরে খেতে চেয়েছে- তার বিচার এখন হতে হবে। ‘সুশীল সমাজ’, ‘এলিট সমাজ’, ‘টক-শো সমাজ’, ‘বিশিষ্ট নাগরিক’- এতো কিছু এক দেশে! সব কিছুর একটা শেষ থাকা চাই।
আজকে সেই ভিডিওগুলো চালিয়ে দেখানো উচিত সব টিভি চ্যানেলে। আশা করি, তথ্যমন্ত্রনালয় থেকে এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ভবিষ্যতে কোনো ‘সমাজ’ যেন ‘পেইড এজেন্ট’র মত আচরণ না করে, উদ্যোগ নিতে হবে এখনই।
আব্দুল জব্বার খাঁনের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]