শিরোনাম
মুজিব রণাঙ্গনের সৈনিকেরা
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:১১
মুজিব রণাঙ্গনের সৈনিকেরা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আজ ৮ ফেব্রুয়ারি। শহীদ ফারুক দিবস। ২০১০ সালের এই দিনে হল দখলের উদ্দেশ্যে জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন মেসে ছাত্রলীগের ঘুমন্ত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সেই হামলায় শাহ মখদুম হলে শিবির ক্যাডাররা গণিত বিভাগের ছাত্র, ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক ভাইকে একা পেয়ে তার পিঠে চাপাতির কোপ দেয়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হলের সামনের আম গাছের নিচে এনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং মৃতদেহ আমীর আলী হলের পাশের ম্যানহোলে ফেলে দেয়।


সেদিন শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগের আসাদ, বাদশা, রাহী, কাওসার, ফিরোজসহ আরো অনেকের হাত-পায়ের রগ কেটে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।


জানা যায়, ওই হামলার নির্দেশ দিয়েছিল জামাত ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। হামলার আগের দিন রাজশাহীতে জামাতের বড় একটা সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে সারা দেশ থেকে জামাত-শিবিরের সব ক্যাডার এসেছিল।


আজ শহীদ ফারুক ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে রাবি ক্যাম্পাস শিবিরমুক্ত।


সেদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু ছাত্রশিবিরের ৩৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় হত্যামামলা করেন। আড়াই বছর পর ২০১২ সালের জুলাই মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১,২৬৯ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মুজাহিদ, নিজামী, সাঈদীসহ স্থানীয় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়। আজ ৭ বছর হয়ে গেলো সেই মামলার রায় হয়নি। রাবিতে ফারুক ভাইয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয়নি কোনো স্মৃতিস্তম্ভ।


প্রতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আমরা শহীদ ফারুক দিবস পালন করি। ফারুক ভাইকে স্মরণ করি কয়েক লাইনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে, শোক র‍্যালি আর আলোচনা সভায়।


ফারুক ভাই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতেন অথবা ভালো কোনো চাকরি করতেন, পরিবারের হাল ধরতেন। আমরা সারা বছর ফারুক ভাইয়ের পরিবারের খোঁজ রাখি না। খোঁজ রাখি না সেদিনের হামলায় পঙ্গুত্ব বরণকারী ছাত্রলীগ নেতাদেরও।


৮ ফেব্রুয়ারি ফারুক ভাইয়ের বোনকে আমন্ত্রণ জানাই শোক র‍্যালি ও আলোচনা সভায়। ফারুক ভাইয়ের বোনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা চাকরি দেয়া হয়েছে, কিন্তু তার চাকরিটা এখনো স্থায়ী হয়নি।


এদিকে আহত অন্য ভাইয়েরা দলীয় কোনো পদবি তো পাননি, পড়ালেখা শেষ করে চাকরি খুঁজতে খুঁজতে অনেকের সরকারী চাকরির বয়স পার হয়ে গেছে। বেকারের অপবাদ নিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন মুজিব রণাঙ্গনের সেই আহত সৈনিকেরা।


টগর মো. সালেহ’র ফেসবুক থেকে


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com