কারো প্রতি যদি কারো তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকে, এবং যদি সে তাকে না পায়, বা পাওয়ার ক্ষমতা না থাকে, তবে সে তার ঘোর বিরোধী হয়ে ওঠে, তাকে নিয়ে রটনা রটায়, তাকে ইচ্ছামতো গালিগালাজ করে মজা পায়।
এটা মূলত তীব্র, অপূর্ণ যৌনাকাঙ্ক্ষার একটা রূপ। নারীর তুলনায় পুরুষের মধ্যে এ আচরণ অতি তীব্র হয়।
এ কারণে সুন্দরী কোনো নারীর বাজে ঘটনায় পুরুষরা এতোটা সরব হয়। তার চরিত্র হরণ করে, গালিগালাজ করে কিছু মানুষ যৌনসুখ লাভ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন সুন্দরী নারীর অপকর্মের সংবাদের নীচে এ শ্রেণির মানুষের আবির্ভাব ঘটে।
নারী যত বেশি রূপসী হয়, যত বেশি সেলিব্রেটি হয়, যত বেশি চকচকে, উন্নত, ফোলানো হয়, গালি-গালাজ তত বেশি পড়ে। চেহারা টসটসে, রসালো না হলে, মন্তব্যে গালি ততটা জমে না।
এ সব গালি-গালাজ মূলত বিকৃত যৌনসুখ, তীব্র অপূর্ণ যৌনাকাঙ্ক্ষা। ক্ষমতাহীন যৌনতার শাব্দিক প্রতিফলন।
আজ রাতে যে সুন্দরী, লোভনীয় বেশ্যাকে যে সব লোকে সবচে খারাপ গালি দিল, কাল যদি তাকে বিছানায় পাওয়ার সুযোগ আসে, এদের মধ্যে প্রায় সবাই সে সুযোগ নেবে। যে ক'জন এ সুযোগ নিতে চাইবে না, তাদের সৎ মনে করার কোন কারণ নেই। আসলে ওদের নিজের ক্ষমতায় আস্থা নেই।
হয়তো এ জন্য ইসলামে গীবতকে হারাম করা হয়েছে। পবিত্র কোরানের সূরা হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'হে ঈমানদারগণ! ... তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে গীবত করো না।'
বিবার্তা/বিআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]