বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ২২ ভাগ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। অর্থাৎ এই মানুষগুলোর বেশীরভাগ'ই তাদের মৌলিক চাহিদা ঠিক ভাবে পূরণ করতে পারে না।
কোটি কোটি মানুষের এই দেশে ২২ ভাগ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করার মানে দাঁড়াচ্ছে একটা বিশাল সংখ্যার মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো কিছুই করতে পারে না। তো, এই মানুষ গুলোর কিন্তু চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ আরও নানান অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার কথা।
আপনাদের জানিয়ে রাখি জনসংখ্যা এবং দারিদ্রের অনুপাত যদি হিসেবে আনা যায়; তাহলে সেই অনুযায়ী বাংলাদেশে ক্রাইম রেট কমই বলতে হবে!
আজই পত্রিকায় একটা ছবি দেখলাম। পুলিশ টাকা না পেয়ে এক ছেলেকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে পেটাচ্ছে।
এই দেশে যেই মানুষগুলোর ঠিক ভাবে ঘুমানোর জায়গা নেই, দু'বেলা ঠিক ভাবে যাদের খাবার জোগাড় হয় না; সেই মানুষ গুলো যদি সবাই একসাথে বের হয়ে চুরি, ডাকাতি কিংবা চাঁদাবাজি শুরু করতো; তাহলে এই দেশের পুলিশ বাহিনীর পক্ষে জীবনেও সেটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো না!
তবে এই মানুষগুলো এই সবের কিছু না করে, রোদে দাঁড়িয়ে কেউ চানাচুর বিক্রি করে, কেউ রিকশা চালায়, কেউ প্রচণ্ড শীতের মাঝে মাঠে কাজ করে। এরপরও চুরি-ডাকাতি কিংবা চাঁদাবাজি করতে বের হয় না।
আর যারা অনার্স, মাস্টার্স পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে পুলিশ হয়, ম্যাজিস্ট্রেট হয়-তারা চেয়ারে বসে থেকে চাঁদাবাজি করে, ডাকাতি করে; আর আমরা ভদ্র ভাষায় তার নাম দেই "ঘুষ"!
এই দেশে বিসিএস পরীক্ষায় এখন ছাত্র-ছাত্রীদের এক নাম্বার পছন্দের ক্যাডার হচ্ছে পুলিশ। আমার পরিচিত বড় এবং ছোট ভাই যাদেরই আমি জিজ্ঞেস করেছি কেন তারা পুলিশ হতে চায়?
উত্তরে তারা বলেছে -একবার পুলিশ হতে পারলে আর কোনো চিন্তা নাই। ক্ষমতা আর টাকার পাহাড়ে বাস করা যাবে!
অনেকটা রূপকথার গল্পে রাজ্যসহ রাজকন্যা পাওয়ার মতো অবস্থা!
তাই হয় তো আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দেশটাকে নিজেদের 'রাজ্য' আর নিজ নিজ থানাকে নিজেদের 'রাজপ্রাসাদ' মনে করে বসে আছে! নিজ রাজপ্রাসদে কেউ একজনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো আর এমন কি! গুলি করে পিস্তলের নিশানা ঠিক আছে কিনা, সেটা যে পরীক্ষা করে দেখেনি-এইতো বেশ!
আমিনুল ইসলামের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]