শিরোনাম
এখনই বঙ্গবন্ধুর ছবির এ অবস্থা, নেত্রীর অবর্তমানে কি হবে ভাবতেও ভয় লাগে
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২১, ০৯:৫৬
এখনই বঙ্গবন্ধুর ছবির এ অবস্থা, নেত্রীর অবর্তমানে কি হবে ভাবতেও ভয় লাগে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মুজিববর্ষে স্বাধীনতার মাসে পিতা মুজিবের ছবি এবং ভাস্কর্যের প্রতি চরম অবমাননা আমাদের দেখতে হচ্ছে এবং হয়ত আরো দেখতে হবে। আদর্শ নয় উন্নয়নই এখন আমাদের মুখ্য। তার জন্য আদর্শিক সবকিছুকে বিসর্জন দিতে আমরা প্রস্তুত! ১৯৭৫ এর পর থেকেই মাঠে আছি। আমার বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৯টি আসনের সংসদ সদস্যদের ১৯৭৫ পরবর্তী এবং ১৯৯৫ পূর্ববর্তী, ২০০১ পরবর্তী ২০০৮ নির্বাচনের আগে পরের ভুমিকা কি আমি বিশ্লেষণ করেছি।


আমার বিবেচনায় উত্তরাধিকারসহ ২৩/২৪ জন মাত্র খুঁজে পাওয়া যাবে যারা আমাদের পক্ষের সবসময়। আর বাকীদের দাগ খতিয়ান খুজে পাওয়া যাবে না। মন্ত্রী, এমপি, মেয়র সবার একই অবস্থা। অন্য সব বিভাগের কথাও অল্প বিস্তর জানি।১৯৭৫ পরবর্তীতে জীবন বাজি রেখে যারা প্রতিরোধ সংগ্রাম করেছেন, ১৯৭৫-৯৬ পর্যন্ত যারা প্রতিনিয়ত নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দলের জন্য কাজ করে সর্বশ্রান্ত হয়েছেন তাদের ফসিলকে আজ মিউজিয়ামে রাখার সময় হয়েছে। কেন না তাদের অধিকাংশই আজ জীবন্মৃত।


২০০৯ এর পরেও বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবল্টু আর আওয়ামী লীগকে আলমারী লীগ বলা লোকরাও এমপি, মন্ত্রী, মেয়র এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তারাই আওয়ামী লীগকে আজকের এ জায়গায় এনেছে। কার কারসাজিতে দলের দুর্দীনের মানুষরা নেত্রীর কাছে অযোগ্য এবং অর্বাচীনই রয়ে গেল আর নবাগত সুযোগ সন্ধানী হায়নারা হল অত্যাধিক যোগ্য তা আজ খোঁজ নেয়ার সময় এসেছে। নেত্রীও দোষে গুণে ভরা একজন মানুষ যিনি আমাদের সর্বশেষ পার্থিব আশ্রয়স্থল।


ভেবে কুল পাই না ২০১৪ এবং ২০১৮ র নির্বাচনে সুবিধাবাদীদের বাদ দিয়ে দলের দুর্দিনের মানুষদের মনোনয়ন দিলে দলের কি ক্ষতি হত? কি ক্ষতি হত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে দলের পরীক্ষিত কর্মীদের বিবেচনা করলে। দলের দুর্দিনের মুজিবাদর্শের সৈনিকরা কখনো বেইমানী করে নাই এবং করবে না। কিন্তু আজ তারা অসহায়, শক্তিহীন। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কৈশোর এবং তারুন্যের অনেক সময় ব্যয় করেছে তাদের অনেককে দলের এমপি, মন্ত্রী, মেয়র এবং কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে কুর্নিশ করার জ্বালা সত্যিই ভয়াবহ।আদর্শিক রাজনীতিতে আপোষকামীতার কোন স্থান নাই।


জামায়াতে ইসলামী বা হেফাজতে ইসলাম কখনো আদর্শিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযাত্রী হতে পারে না। সর্বশেষ গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ তারই প্রমাণ।


যে সমস্ত রাজনীতিবীদ এবং সামরিক/বেসামরিক আমলা হেফাজতকে আওয়ামী লীগের মিত্র বানানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে চেয়েছে এবং সফল হয়েছে তাদের হিসাব নেয়ার সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে কখনো আপোষ করেন নাই। জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও তার সীমিত সময়ের মধ্যে একই পথ অবলম্বন করে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। তা না হলে পরবর্তী শত শত বর্ষেও হয়ত এ সুযোগ আর কেউ পাবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হয়তো অন্ধকারাচ্ছান্নই থেকে যাবে।


সময় খুবই কম। আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সফল হতে হবে। তা না হলে এখনই বঙ্গবন্ধুর ছবির এ অবস্থা হচ্ছে। নেত্রীর অবর্তমানে কি হবে তা ভাবতেও ভয় লাগে।


আলাউদ্দিন আহমেদের ফেসবুক থেকে


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com