শিরোনাম
৭ মার্চের ভাষণের পরই মেয়েদের সামরিক প্রশিক্ষন শুরু হয়
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২১, ১৬:৩০
৭ মার্চের ভাষণের পরই মেয়েদের সামরিক প্রশিক্ষন শুরু হয়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধু আমাদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। ৭ মার্চের ভাষণের পরই পরই আমাদের ছাত্রলীগের মেয়েদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষন শুরু হয় কলা ভবনের ভিতর তৎকালীন ডাকসু অফিসের সামনে।আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উদ্বুদ্ধ হয়েই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষন শুরু করেছিলাম এবং তারই ধারাবাহিকায় পরবর্তীতে আগরতলায় লেম্বুছড়া ক্যাম্পে আমাদের ১১টি মেয়ের সামরিক প্রশিক্ষন হয়। তাই ৭ মার্চ ভবনের নির্মান কাজ শুধুমাত্র কনস্ট্রাকশন কাজ ছিল না এটা ছিল একটি চেতনাকে ধারন এবং লালন! বঙ্গবন্ধুর এই ছবিটি দিয়ে ভবনের নাম একদম উপরে ঐ জায়গায় দেয়ার চিন্তাটি মাথায় এসেছিল কারন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ঐ মাঠে বসে সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শুনেছি বলেই ।


যখন মেয়েদের নতুন হলের জন্য কোন জায়গায় নির্ধারণ করা যাচ্ছিলো না তখন অনার্স ভবনের স্থানটিতে নতুন হলের ভবন করার সিদ্ধান্ত হয় তা না হলে ফান্ড ফেরত চলে যাবে। যদিও মেইন বিল্ডিং এবং শামসুন নাহার হলের extension building এর খুব কাছাকাছি হয়ে যায় কিন্তু এ ছাড়া আর জায়গা পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই যখন এ প্রজেক্টটি রোকেয়া হলে আসলো তখন তার ত্বত্তাবধানের দ্বায়িত্ব আমার উপরই ন্যাস্ত হলো। যখন হলটি রোকেয়া হলের ভিতর বানানো হলো তখন তার নাম ভবন হয়ে গেলো এবং আরেফিন স্যার নাম দিলেন ৭ মার্চ ভবন কারন উনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির নামে বিভিন্ন হলের নামকরন করছিলেন যেমন ‘বিজয় একাত্তর হল’।


রোকেয়া হলের প্রভোষ্ট এবং প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে তখন এই ভবনে রোকেয়া হলে যে কোন অডিটোরিয়াম নাই তার অভাব পূরনের লক্ষ্যে একটি অডিটোরিয়াম সংযোজন করা হলো, ৭ মার্চের মিউজিয়াম সংযোজন করা হলো। সর্বাপরি বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য তৈরী করলাম এবং মিউজিয়ামের স্ট্রাকচার পুরোটাই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক প্রেক্ষপট ধারন করার জন্য অনেক যত্নের সাথে করলাম।


যখন ২০১৮ এর ডিসেম্বরে দ্বায়িত্ব স্হাতান্তর করলাম তখন মিউজিয়ামের ছবি নির্বাচন করা আর লিফট যা ঠিক করে এসেছিলাম তা লাগানো বাকী ছিলো মাত্র। অবশ্যই আরেফিন স্যারকে ধন্যবাদ দিতে হবে আমার চিন্তাগুলি বাস্তবায়নের অনুমতি দেয়ার জন্য এবং এই নির্মান কাজটির তদারকির জন্য আমাকে যোগ্য মনে করার জন্য, আস্থা রাখার জন্য।


অবশ্যই সকল আবাসিক শিক্ষকদের পূর্ন সহযোগিতা ছাড়া এত বড় কনস্ট্রাকশন কাজ তদারকি করা কোনভাবেই সম্ভব হতো না।বিশেষ করে সাইট ইন্জিনিয়ার জাভেদ আর PDO জীবন কুমার মিশ্র আমার অন্য দুটি লাইভ লাইন ছিলো। তাছাড়া বুয়েটের expert members যারা ছিলেন তাদের সাহায্য এবং পরামর্শ আরেকটি ভরসার জায়গা ছিলো।


(নাজমা শাহীনের ফেসবুক থেকে)


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com