২০০৮ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারী; ১/১১র ভয়াল দু:সময়ে প্রিয় নেত্রী বন্দী মঈনুদ্দীন ফখরুদ্দীনের কারাগারে। দীর্ঘসময় না দেখতে পারার কষ্ট ভুলে আইনজীবীর কালো কোট পরে বন্ধু আইনজীবী বলরাম পোদ্দারের সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলে গিয়েছিলাম সংসদ ভবনের সেই ক্যাঙ্গারু কোর্টে।
সেদিন ই সম্ভবত প্রথমবারের মতো আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেই ভয়াবহ দু:সময়ে দলের হালধরা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রদ্ধেয় জিল্লুর রহমান চাচা। আর মাননীয় নেত্রীর তৎকালীন সহকারি ড. হাছান মাহমুদ।
প্রিয় নেত্রীকে এভাবে দেখে চোখের জলে আমি একাকার, আপা আমাকে দেখে চমকে উঠে বলে উঠলেন তুমি কেন এসেছো? আমি ছিলাম ভাষাহারা, আপা আমাকে কাছে ডেকে বলে দিলেন সাবধানে বের হইয়ো, কারণ তিনি জানতেন আমি আইনজীবী না; আমার বিপদ হতে পারে।
বের হওয়ার পর পরিচিত একজন এনএসআই’র কর্মকর্তা আমাকে বললেন আপনাকে সবাই চিনে ফেলেছে, আপনার বিপদ হবে আপনি দ্রুত সরে পড়েন। আমি জিল্লুর চাচার ব্রিফিং শেষে দ্রুত কেটে পড়লাম।
১/১১’র ২ বছর বাসায় ছিলাম না একদিনের জন্যও। সেইদিন ৩রা ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে যৌথবাহিনী আমার তখনকার কলাবাগানের বাসা ঘেরাও করে আমাকে গ্রেফতারের জন্য। বরাবরের মত বাসায় ছিলাম না বলে সেদিন আমি বেঁচে যাই।
দিনের পর দিন একমাত্র শিশু সন্তানের মুখ দেখতে না পারার কষ্টও সেদিন তুচ্ছ ছিল প্রিয় আপার মুক্তির আশায়। দিন বদলেছে; আমাদের আপা আজ টানা ১২ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায়। সেদিনের সেই কঠিন দু:সময়ের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য অফুরান শুভকামনা।
লেখক; শাহজাদা মহিউদ্দিন
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]