একজাতের লোকের উদ্ভব ঘটছে এর মধ্যে বাংলাদেশে। আগে বিভক্তি বা পরিচয় ছিল রাজনৈতিক। অর্থাৎ কেউ ডান ঘরানার আবার কেউ বাম ঘরানার। কেউ সক্রিয় আবার কেউ মৌন। সব্বোনাশা গ্রুপটা জন্ম নিল বাস্তবে বামের নামে যখন থেকে বিরাজনীতিকরণের পথে হাঁটছিল আরেকটি গ্রুপ।
তারা মিশে ছিল বামের ছাতায়। কিন্তু ভূমিকা রেখে গেছে দলবিহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির৷ সেই তারাই আজকে গজিয়ে উঠেছে, ফুলে-ফেঁপে উঠে সুশীলতার চাদরে ঢেকে ধংসাত্মক রাজনীতিকে টেনে চলছে।
এরা কোনো দলীয় ট্যাগে নেই। কিন্তু সবচেয়ে বড় দলবাজি করছে। আর এর পুরোটাই হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের বিপরীতের রাজনীতি। এরা কখনই মুক্তিযুদ্ধ বা আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে না তবে অদ্ভুত রকমের এক নেতিবাচক স্ট্যান্ড নিয়ে থাকে। এরা অ্যান্টি অ্যাস্টাব্লিসমেন্টের নামে অ্যানার্কিকে উস্কে দেয়। এরা পুঁজিবাদের বিরোধিতার নামে দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে উস্কে দেয়।
এরা বাক স্বাধীনতার নামে ব্যক্তির স্বতন্ত্রতাকে আক্রমণ করে, এরা মতের বিরোধিতার নামে অন্যের বক্তব্যকে হেইট্রেড থিউরিতে ব্যাখ্যা দিয়ে শত্রুতার জন্ম দেয়। এরা সরাসরি তর্কে যায় না। কিন্তু মৌলবাদের সাথে সখ্য গড়ে তোলে৷
সবকিছুতেই বিরোধিতার বা অ্যান্টি অ্যাস্টাব্লিশমেন্ট হওয়ার মাঝে এক ধরনের চার্ম আছে। চে গুয়েভারার ফ্লেভার পাওয়া যায় আবার নিজেকে মুক্তও রাখা যায়। দায় বা দায়িত্বের বেলায় সমস্যা কারণ তখন আবার নিজের ইচ্ছাখুশীকে বেঁধে ফেলতে হয়। তাই এরা মুক্ত বিহঙ্গ থাকতে চায়।
সুবিধাবাদিতার চরমে গিয়ে এরা দিনশেষে ক্ষতিকর হয়ে উঠে সমাজের জন্য, প্রগতির নামে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রগতির পথে৷ ভয়ঙ্কর ফ্রাংকেস্টাইন হয়ে যায় এক সময়।
লীনা পারভীনের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]