শিরোনাম
প্রবৃদ্ধি অর্জনে ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ২০ জুন ২০১৯, ১০:৫০
প্রবৃদ্ধি অর্জনে ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা এশীয় উন্নয়ন আউটলুকে (এডিও) এডিবি বলেছে, ২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ সাত দশমিক নয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা ১৯৭৪ সালের পর সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণ।


বাংলাদেশে এডিবির আবাসিক পরিচালক মনমোহন পরকাশ বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে শেখ হাসিনার কাছে এডিও হস্তান্তর করেন।


প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।


এডিবি তাদের এডিওতে আভাস দিয়েছে যে, বাংলাদেশ ২০১৯ ও ২০২০ অর্থবছরে আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে, যা হবে একটি নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশ এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখবে। এডিবির বার্ষিক প্রকাশনা এডিও এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন ও পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।


এতে বলা হয়, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের প্রবৃদ্ধি হবে মাঝারি। ২০১৯ সালে এটি হবে পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ এবং ২০২০ সালে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ, যা ২০১৭ সালে ছিল ছয় দশমিক দুই শতাংশ ও ২০০৮ সালে ছিল পাঁচ দশমিক নয় শতাংশ।


তবে দক্ষিণ এশিয়া শ্লথ প্রবৃদ্ধির প্রবণতা কাটিয়ে ২০১৯ সালে ছয় দশমিক আট শতাংশ ও ২০২০ সালে ছয় দশমিক নয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।


এডিওতে আরো বলা হয়, এই প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকগুলো হচ্ছে : শক্তিশালী নেতৃত্ব, সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার ও অব্যাহত রাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ অবস্থা, সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালা ও সঠিক উন্নয়ন অগ্রাধিকার।


এতে উচ্চ সরকারি বিনিয়োগ, জোরালো ভোগ চাহিদা, বিনিয়োগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, উন্নত বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বেসরকারি খাতের ঋণের ক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।


এডিওতে উল্লেখ করা হয়, বৈশ্বিক দুর্বল প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও বাংলাদেশে অনুকূল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া রফতানি ও রেমিটেন্স আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


এতে আরো উল্লেখ করা হয়, অব্যাহত নীতি পরিবেশের কারণে জোরালো সরকারি বিনিয়োগ এবং দ্রুত বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আওতা বৃদ্ধিসহ উচ্চ কর সংগ্রহ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নেবে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সংস্কার উচ্চ বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে, যা প্রবৃদ্ধির সহায়ক হবে।


শেখ হাসিনা এডিবির আবাসিক পরিচালককে বলেন, তার সরকার একটি সুপরিকল্পিত উপায়ে দেশের অর্থনীতিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ বছরও বাজেট প্রণয়নের আগে আমাদের বিশ্লেষণ করেছি।


এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখনো তার দল দেশের স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামগ্রিকভাবে দেশকে উন্নত করার এবং ধনী-গরিব ও গ্রাম-শহরের ব্যবধান হ্রাস করার স্বপ্ন ছিল। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।


তিনি বলেন, তার সরকার সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে, যেখানে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা তাদের শিল্পকারখানা স্থাপন করতে পারবে।


মনমোহন পরকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মসূচি জনমুখী।


প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/তাওহীদ/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com