ওষুধ শিল্পের তিন কোম্পানিকে ‘অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও)’ মর্যাদা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এইও সুবিধা পাওয়া তিন কোম্পানি হলো স্কয়ার, বেক্সিমকো ও ইনসেপটা ফার্মাসিটিক্যাল। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে আমদানি-রফতানি পণ্য খালাসে বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের জন্য কোম্পানিগুলোকে এই মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
রবিবার রাতে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া কোম্পানিসমূহকে এইও সনদ প্রদান করেন।
এ সময় তিনি বলেন, এইও সনদ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মূলত আমদানি ও রফতানিতে বিমানের ‘বিজনেস ক্লাস’ এর ন্যায় সুবিধা ভোগ করবে। কমবে সময় ও খরচ। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও এর আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে নিরাপদ বাণিজ্যের পাশাপাশি বাণিজ্য সহজীকরণের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে এবং ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ আরো উন্নত হবে। পণ্য খালাসে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। এইও ব্যবস্থা চালু হওয়ায় বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণ বা ব্যবসা সহজীকরণের ক্ষেত্রে এনবিআরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,এইও সুবিধা হলো ফাস্ট ট্রাক। বিমানে প্রথম শ্রেণীর যাত্রীর সুবিধার মত। বন্দরে পণ্য খালাসে গ্রিন চ্যানেল সুবিধার মতো। অর্থাৎ আমদানি করা পণ্য বন্দরে পড়ে থাকবে না। খুব অল্প সময়ে খালাস হবে। আমদানিকারকের নিজস্ব গুদামেই পণ্য পরীক্ষা– নিরীক্ষা করা হবে। জাহাজ থেকে পণ্যের চালান ট্র্যাকে করে সরাসরি আমদানিকারকের গুদামে যাবে। পণ্য খালাস করতে কাগজপত্র নিয়ে শুল্ক কর্তৃপক্ষের দফতরে টেবিলে টেবিলে দৌড়াতে হবে না।
দুই পক্ষের সব যোগাযোগ হবে ই-মেইলে। সহজ হবে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। এইও ধারী প্রতিষ্ঠান মোট দশ ধরনের সুবিধা পাবে। আর সনদ পেতে হলে সাত শর্ত পূরণ করতে হবে।
ওষুধ খাতের খাতের তিনটি কোম্পানি বাছাইয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজস্ব প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, রফতানিমূখী ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণত নানা ধরনের নিয়মকানুন মানতে হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় রাজস্ব খাতের নিয়মনীতি পরিপালনে এ খাতের কোম্পানিগুলো এগিয়ে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দলিলপত্র অটোমেশন ব্যবস্থায় থাকে। এসব কারণে আপাতত তিনটি ওষুধ কোম্পানিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আমদানি-রফতানিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অতীত রেকর্ড ভালো,মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা ও শুল্ক ফাঁকিসহ অন্য কোনো অভিযোগ নেই এবং আর্থিক ও কারিগরিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ইকোনমিক অপারেটকেও এইও হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য সহায়তা চুক্তি (ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট) হয়। এতে বাংলাদেশ সই করে। এই চুক্তির ৭ দশমিক ৭ অনুচ্ছেদে এইও ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হয়।
বিবার্তা/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]