ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবনে শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। প্রায় পাঁচ বছর পর এই নির্বাচন হচ্ছে।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। একইসাথে বিজিএমইএ ভবনে ভোটার ও মিডিয়া ছাড়া প্রবেশে কড়াকরি আরোপ করা হয়েছে।
মোট ৩৫টি পরিচালক পদের মধ্যে চট্টগ্রামের নয়টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেতা নির্বাচিত হওয়ায় এদিন শুধু ঢাকার মোট ২৬টি পরিচালক পদের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। লড়ছেন ৪৪ জন প্রার্থী।
এরমধ্যে সম্মিলিত পরিষদের ২৬ জন ও স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। ঢাকায় মোট এক হাজার ৫৮৭ জন ভোটার ভোট দেবেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত পরিচালকরা বিজিএমই’র সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত পর্ষদ ২০১৯-২১ মেয়াদ সময়ে নেতৃত্ব দেবেন।
নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্বে আছেন এটির আহবায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে সমঝোতার মাধ্যমে প্রথমবার পরিষদ থেকে মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন। চুক্তি অনুযায়ী পরের মেয়াদ ২০১৭ সালে ফোরাম থেকে সভাপতি মনোনীত হওয়ার কথা। কিন্তু সহ-সভাপতি ও পরিচালকের অন্য পদগুলোর ব্যাপারে সমঝোতা হলেও সভাপতি একই ব্যক্তি থেকে যান। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয় সভাপতির পদে।
বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই মোর্চার সমঝোতার ভিত্তিতে একটি প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতে চান। তাতে বাধ সাধে একটি গ্রুপ। সরাসরি ভোটের দাবিতে গঠন করা হয় স্বাধীনতা পরিষদ নামের নতুন মোর্চা। এর আহবায়ক হলেন জাহাঙ্গীর আলম।
নানা চাপ উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ প্রার্থী। তবে মূল কমিটি গঠন করতে হলে তাদের প্রত্যেককেই বিজয়ী হতে হবে।
নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। এ যৌথ প্যানেল নির্বাচনে জয়ী হলে ফোরামের লিডার হিসেবে প্রথম বিজিএমইএর নারী সভাপতি হবেন তিনি। রুবানা হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী।
সম্মিলিত-ফোরামের প্যানেল পরিচিতি
মোহাম্মদী গ্রুপের রুবানা হক, সেহা ডিজাইনের এসএম মান্নান কচি, সুরমা গার্মেন্টসের ফয়সাল সামাদ, মাসুদ অ্যাপারেলসের মোহাম্মদ নাছির, কাইলক নিউএইজ বাংলাদেশের আসিফ ইব্রাহীম, তুসুকা ফ্যাশনসের আরশাদ জামাল দিপু, দুলাল ব্রাদার্সের এমএ রহিম ফিরোজ, গোল্ডেন রেফিট গার্মেন্টসের কেএম রফিকুল ইসলাম, অ্যাডাম অ্যাপারেলসের মো. শহীদুল হক মুকুল, ফেম সুয়েটারসের মশিউল আজম সজল, অনন্ত গার্মেন্টসের ইনামুল হক খান বাবলু, টিভোলি অ্যাপারেলসের মাসুদ কাদের মনা, ওডেসা ফ্যাশনসের ইকবাল হামিদ কোরাইশী আদনান, সামা ফ্যাশন ওয়্যারের নাছির উদ্দিন, দিগন্ত সুয়েটার্সের কামাল উদ্দিন, ভিজেন্ট ডেনিম স্টুডিওর মো. সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, সফটেক্স সুয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজের রেজওয়ান সেলিম, নিও ফ্যাশনসের মুনির হোসেন, গার্মেন্টস এক্সপার্ট ভিলেজের একেএম বদিউল আলম, মিসারি গার্মেন্টসের মিরান আলী, ফ্যাশন নিট গার্মেন্টসের মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, সিভিক অ্যাপারেলসের মোশাররফ হোসেন ঢালী, এমিটি ডিজাইনের শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, ডেনিম এক্সপার্টের মহিউদ্দিন রুবেল, অনন্ত ডেনিম টেকনোলজির শরীফ জহির ও জিসাস ফ্যাশনের নজরুল ইসলাম।
স্বাধীনতা পরিষদের প্যালেন পরিচিতি
স্বাধীনতা পরিষদ থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ১৮ জন হলেন- ডেনিম প্রসেসিং প্লান্টের জাহাঙ্গীর আলম, ডিলাক্স অ্যাপারেলসের দেলোয়ার হোসেন, অলিরা ফ্যাশনসের হুমায়ুন রশিদ জনি, এলুরিং ফ্যাশনসের সাইফুল ইসলাম, নর্দার্ন করপোরেশনের রফিক হাসান, সাউথ ওয়েস্ট কম্পোজিটের হোসেন সাব্বির মাহমুদ, লিবাস স্টিচের শওকত হোসেন, হানজালা টেক্সটাইলসের খন্দকার ফরিদুল আকবর, ভ্যান হ্যাপেন ফ্যাশনের জাহাঙ্গীর কবির, জেইন অ্যাপারেলের জাহিদ হাসান, অ্যাপারেল বাংলা সোর্সিংয়ের শরিফুল আলম চৌধুরী, এ এস গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলের কাজী আবদুস সোবহান, টপ টেক্স সোয়েটারের জহিরুল ইসলাম, জেড এ অ্যাপারেলসের কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ, ডিকে গ্লোবাল ফ্যাশনওয়্যারের মাহমুদ হোসেন, ওয়েলমার্ট অ্যাপারেলসের আয়েশা আক্তার, পিয়াংকা ফ্যাশনের ওয়ালীউল্লাহ এবং গোল্ডেন ডাক অ্যাপারেলের ওমর নাজিম হেকমত।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]