শিরোনাম
‘বুড়িমারী দিয়ে রেলে যুক্ত হবে ভারত-বাংলাদেশ’
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৯, ১৭:৫৮
‘বুড়িমারী দিয়ে রেলে যুক্ত হবে ভারত-বাংলাদেশ’
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ের নেয়া প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলেই ভারতের সাথে কথা বলেই বুড়িমারী চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারত ও বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ চালু করা হবে।


শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও জিরো লাইনের রেলপথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।


মন্ত্রী বলেন, আগে বুড়িমারী স্থল বন্দর থেকে মালামাল রেল পথে যেত, এখন ট্রাকে যাচ্ছে। ট্রাক সেক্টরের সিন্ডিকেটের কারণে এখন আর রেল পথে মালামাল যাচ্ছে না। এতে রেলওয়ে বিভাগ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যদি আবারো উদ্যোগ নিয়ে রেল পথে মালামাল পরিবহন করেন তাহলে রেলওয়ে বিভাগ আরো লাভজনক হয়ে উঠবে।


বুড়িমারী স্থলবন্দরের পণ্য রেলপথে পরিবহনে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এ বছরেই চালু করা হবে আন্তঃনগর ট্রেন 'তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস'। যাতে তিন দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দ্রুত ঢাকার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সেই সাথে ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারবেন।


তিনি বলেন, বুড়িমারী স্থল বন্দর-চ্যাংরাবান্ধা রুট দিয়ে ৪ দেশীয় ট্রেন পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল ৪ দেশীয় বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন স্থলবন্দর ব্যবসায়ী ও সাধারণ যাত্রীরা। আগামী দুই বছরের মধ্যে এসব বাস্তবায়ন হবে। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালু হবে। দেশে ট্রাকের যে আধিপত্য। তাতে ব্যবসায়ীরা রেলপথে পণ্য পরিবহন না করায় ওয়াগনগুলো (মালবাহী) ব্যবহার করা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা চাইলেই ওয়াটারগুলো ব্যবহার করা হবে। ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের আহ্বান আপনারা পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহার করুন। সড়ক পথের চেয়ে বেশি সুবিধা দেয়া হবে। জাইকার সাথে চুক্তি হয়েছে খুব দ্রুত যমুনা সেতুতে পৃথক রেল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। এটা হলে রেলপথে পণ্য বা যাত্রী পরিবহনে ঝুঁকি থাকবে না।


তিনি বলেন, ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের রেলপথ ব্রডগেজ। অপর দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের রেলপথ মিটারগেজ। আমাদের পথ ব্রডগেজ হলে ভারতের সাথে কথা বলে কানেক্টিভিটি করা হবে।


মন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্থলবন্দরে কানেক্টিভিটি চালু করা হয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসা বাণিজ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে যমুনা সেতুর সংযোগ পর্যন্ত ব্রডগেজ নির্মাণে কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই ভারতের সাথে কথা বলেই বুড়িমারী চ্যাংরাবান্ধ স্থলবন্দর হয়ে ভারত বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ চালু করা হবে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর সাথে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমি, জেলা পরিষদ সদস্য মতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, রেলপথ মহা পরিচালক খন্দকার শহিদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার প্রমুখ।


বিবার্তা/জিন্না/সৌরভ/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com