প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম ৮ মাসে ১০ হাজার ৪১০.২৯ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৪৯.০৬ ডলার বেশি। অর্থাৎ এ সময়ে ১০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রেমিটেন্স বিশ্বব্যাংকের এক উপাত্তে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

উপাত্তে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে বাংলাদেশ ৯ হাজার ৪৬১.২৩ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান মুখপাত্র এম. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে রেমিটেন্সের গতি উর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবাসী বাংলাদেশীদের আইনগত বৈধ উপায়ে দেশে টাকা প্রেরণে উৎসাহিত করার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে রেমিটেন্স ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এতে মনে হচ্ছে আগামী মাসগুলোতেও এ গতি অব্যাহত থাকবে।

চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অগ্রণী, জনতা, রূপালী, সোনালী, বেসিক এবং ডিবিবিএল এই ছয়টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ২৮০.৮৭ মিলিয়ন ডলার, আর একমাত্র রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৫.০১ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করে।

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক ১১৩.৭৭ মিলিয়ন ডলার, জনতা ব্যাংক ৭০.৪৮ মিলিয়ন ডলার, রূপালী ব্যাংক ১৪.৮৯ মিলিয়ন ডলার, সোনালী ব্যাংক ৮১.৬৭ মিলিয়ন ডলার ও বেসিক ব্যাংক ০.০৬ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করে।

অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে প্রবাসীরা ১০১১.০৭ মিলিয়ন ডলার প্রেরণ করে। এসব বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) সবচেয়ে বেশি অর্থ ২০৬.৭৮ মিলিয়ন ডলার গ্রহন করে।ডাচবাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) ১৪০.৯০ ডলার গ্রহণ করে। অপর দিকে প্রবাসীরা ১০.৭৮ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পাঠান।

আইবিবিএলের নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মোহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখায় দিন দিন রেমিটেন্স বাড়ছে। আমরা রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণের প্রক্রিয়া সহজতর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবংএই লক্ষ্যে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করছি।

বিবার্তা/জাকিয়া