শিরোনাম
স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় হয় বেশি এনজিও সহায়তা
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:২৪
স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় হয় বেশি এনজিও সহায়তা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

স্বাস্থ্য উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি এনজিও সহায়তা পায় বাংলাদেশ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মৌলিক এই অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যয় হয় বড় অংকের অর্থ। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ১,১২৮ কোটি টাকা। তারপরই শিক্ষার অবস্থান। এইখাতে ব্যয়ের পরিমাণ ১,০০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বিভিন্ন দাতা সংস্থার পাঠানো এ সহায়তা দেশের ২,৪৯৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ব্যয় করা হয়।


এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অর্থায়নের সাতটি খাত চিহিৃত করেছে। সেখানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি সহায়তার অর্থ পায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত। কৃষি, মৎস্য উন্নয়নেও আসে বড় অংকের অর্থ।


২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এই ৭ খাতে আসে ২২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অর্থায়নের ক্ষেত্রে চতুর্থ অবস্থান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সুশাসনে ব্যয় হয় বড় অংকের অর্থ। এ খাতে আসা সহায়তার পরিমাণ ১৮৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ দুর্যোগের দেশ হলেও তুলনামূলকভাবে এইখাতে আসে কম সহায়তা। গত অর্থবছরে এ খাতে আসা অর্থের পরিমাণ ১০৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে আসা সহায়তার পরিমাণ ১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। একই সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষা এবং উন্নয়ন খাতে আসা সহায়তার পরিমাণ ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতে আসা সহায়তার পরিমাণ ২,২৪৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার অর্থ সহায়তা। সব মিলিয়ে এনজিওখাত থেকে গেল অর্থ বছরে আসা অর্থ সহায়তার পরিমাণ ৪ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। এসব সহায়তার আসে স্থানীয় এবং বিদেশি এনজিওর মাধ্যমে।


বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার পর এনজিও খাতে যে পরিমাণ অর্থ সহায়তা পাওয়া যেত এখন তা আসে না। এক্ষেত্রে সহায়তার অর্থ ব্যবহারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি আফ্রিকান বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে সহায়তার অর্থ।


এ প্রসঙ্গে ইন্সস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্সের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী খলিলী বিবার্তাকে বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকাণ্ডে অস্বচ্ছতা, কর্মসূচি পরিবর্তন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দারিদ্র্যবিমোচন ও অভিবাসন খাতে দাতাদের আগ্রহ বেড়ে যাওয়া, যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অনুদান প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ভাগে অনুদান কম পড়ছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই দাতারা এ দেশে অর্থায়নে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আর অনেক এনজিওরই কার্যক্রমের কোনো স্বচ্ছতা নেই। এদেশের মানব উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণাসহ বিভিন্ন কাজের নামে বিদেশ থেকে টাকা এনে নিজেরাই ইচ্ছেমতো খরচ করে থাকে। এজন্য এনজিওর কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা প্রয়োজন।


এনজিও খাতে বৈদেশিক সহায়তা দেখভাল করতে ১৯৯০ সালে কার্যক্রম শুরু করে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। বর্তমানে ব্যুরো নিবন্ধিত দেশে কর্মরত স্থানীয় এনজিও সংখ্যা ২,২৪৪টি এবং বিদেশি এনজিও সংখ্যা ২৫১টি।


বিবার্তা/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com