স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংকিং হিসাব সাধারণ ব্যাংকিং হিসাবে রুপান্তরের জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনেযাদের বয়স ১৮ বছর হয়ে গেছে তাদের হিসাব রুপান্তরের কথা বলা হয়েছে। অতিসত্বর এ কাজ করার জন্য একটি ফরম্যাটও তৈরি করে ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বশর বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরে হয়ে যায় ব্যাংকগুলো তাদের হিসাব বন্ধ করে দেয়। এখন থেকে হিসাব বন্ধ না করে শিক্ষার্থীদের অনুমতি নিয়ে তা সাধারণ হিসাবে রূপান্তরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এটা করা হলে যে উদ্দেশ্যে এ স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয়েছিল সে উদ্দেশ্য পূরণ হবে। এতে ওই শিক্ষার্থী স্বতন্ত্রভাবে ব্যাংক হিসাবও পরিচালনা করতে পারবে।
জানা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সুবিধা ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। এরপর থেকেই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় মুনাফার নানা স্কিম চালু করে।
২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে। প্রথম বছরে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয় ২৯ হাজার ৮০টি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬১টি স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাবের বিপরীতে জমাকৃত সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।
সাধারণত, ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাবা-মা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। মাত্র ১০০ টাকা প্রাথমিক জমা দিয়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক শাখায় এ হিসাব খোলা যায়। এ হিসাবে কোনো ফি বা চার্জ আরোপ করা হয় না। এমনকি ন্যূনতম স্থিতি রাখার বাধ্যবাধকতাও নেই।
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]