গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন মোট মজুরি ৬,৩৬০ টাকা প্রস্তাব করেছে কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে শ্রমিকপক্ষের প্রস্তাব ১২,০২০ টাকা।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলামের কাছে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
শ্রমিকদের জীবনযাপন ব্যয়, মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজেরধরণ, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ্য ও অন্যান্য আর্থ-সামাজিক বিষয় বিবেচনা করে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে।
অবিলম্বে মজুরি ১৬০০০ টাকা করার দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন পল্টনে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে
গত ১৯ মার্চ মজুরি বোর্ডের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে সেটি স্থগিত করা হয়। এরপর আজ ১৬ জুলাই বৈঠকে উভয় পক্ষ মজুরি প্রস্তাব পেশ করেছে। এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে মজুরি বোর্ডের সদস্যরা। এরপরই আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জানা গেছে, মজুরি নির্ধারণে সরকার বোর্ডকে ৬ মাসের সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে না পারলে আরো ৩ মাস বর্ধিত করার সুযোগ আছে।
পোশাকশিল্পের জন্য ১৯৮৪ সালে প্রথম নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠিত হয়। তখন পোশাকশ্রমিকদের জন্য ৬২৭ টাকা নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করে বোর্ড। পরে ১৯৯৪ সালে ৯৩০ টাকা, ২০০৬ সালে ১৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ২০১০ সালে ৩০০০ টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৫৩০০ টাকা নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণা দেয়া হয়।
শ্রম আইন অনুযায়ী, ৫ বছর পরপর মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা করতে হবে। এ বিধান বিবেচনায় আইনি সীমা অতিক্রমের আগেই গত বছরের নভেম্বরে পোশাক শিল্পের মালিকপক্ষই মজুরি পর্যালোচনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারির মধ্যভাগে বোর্ড ঘোষণা করা হয়।
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]