সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৭' শীর্ষক যে বার্ষিক প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, সুইস ব্যাংকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৫ কোটি ৮ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩ সাল থেকে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বাড়তে থাকলেও ২০১৭ সালে এসে কমে গেছে। এক বছরের ব্যবধানে ২৭ শতাংশের বেশি কমেছে জমার পরিমাণ।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা পাচার বন্ধে অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলো কাজে লেগে যদি পাচার কমে, তাহলে তো খুবই ভালো। কিন্তু সেটা যে হয়েছে, তা আমরা মনে করতে পারছি না। আমরা দেখছি, বাংলাদেশিরা এশিয়ার অনেক দেশ এবং ইউরোপ-অ্যামেরিকার বহু দেশে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করছে। কারণ, ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে বিনিয়োগকে তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আবার সুইস ব্যাংকে টাকা না ঢুকে অন্য ব্যাংকেও চলে যেতে পারে। সেটা তো আমরা জানি না।''
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সুইস ব্যাংকগুলোতে শুধু ব্যক্তি আমনতই নয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থও লেনদেন হয়। বিশ্বব্যাপী মানিলন্ডারিং আইনের কড়াকড়িতে সুইজারল্যন্ডের ব্যাংকগুলো আগের মতো গ্রহকদের তথ্য গোপন রাখতে পারছে না। সে কারণেও গ্রাহকরা আমানত কমিয়ে আনতে পারে। তবে তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার কমছে। আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনীতির বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বেড়েছে। পাচারকৃত এই অর্থ সুইস ব্যাংকে জমা না হলেও বিভিন্ন দেশে সম্পত্তি ক্রয়ে বিনিয়োগ হচ্ছে বলে মনে হয়। বিশেষ করে রিয়েল এস্টেটেও যেতে পারে৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢালাওভাবে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। যদি প্রয়োজন হয় তবে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে সুইস ব্যাংক থেকে তথ্য পাওয়া সম্ভব। তবে এখনো বাংলাদেশ এমন কোনো তথ্য পায়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]