শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা শীতকালীন সবজি উৎপাদনে ব্যস্ত
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:১৩
ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা শীতকালীন সবজি উৎপাদনে ব্যস্ত
মো. রাসেদুজ্জামান সাজু, ঠাকুরগাঁও
প্রিন্ট অ-অ+

শীতকালীন সবজি উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা। জেলা সদর, হরিপুর, রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জ ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাষীরা মাঠে মাঠে জমির পরিচর্চার কাজ করে যাচ্ছেন। আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদন করে বাজারজাত করতে পারলে বেশি লাভবান হবে বলে মনে করছেন চাষীরা।


উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও কৃষি প্রধান অঞ্চল হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। আর মাটির গুণাগুণ ভাল হওয়ায় পণ্যের মানও ভাল। তাই প্রতি মৌসুমে আগাম পণ্য ক্রয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এ জেলার কৃষকের সাথে সমন্বয়হীনতা গড়ে তোলেন। এতে কৃষক এবং পাইকার উভয়েই লাভবান হন। বিশেষ করে শীতকালীন সবজির চাহিদা প্রচুর।


আগাম সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাধাঁকপি, বেগুন, ঝিঙা, লাউসহ অনেক প্রকার সবজি আবাদ হয় এ জেলায়। উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণ করেও অন্য জেলার ফড়িয়ারদের কাছে বিক্রি করছেন প্রতি বছর। তাই এসব সবজি উৎপাদন করে বাজারজাত করনে মাঠে মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন কৃষাণ কৃষাণীরা। কেউবা সার দিচ্ছেন, কেউবা দিচ্ছেন পানি আবার কেউবা জমির আর্বজনা পরিস্কার করে দ্রুত সবজি উৎপাদনে পরিচর্চা করেন।


জেলা কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচটি উপজেলায় সবজি চাষ হয়েছে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে। আর এ থেকে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ফলন উৎপাদন হবে। এবার কোনো সবজি বাগানে পোকামাকড়ের উপদ্রব নেই। আশা করা হচ্ছে কৃষক বেশ লাভবান হবেন।



সদর উপজেলার আকঁচা ইউনিয়নের সিড়িখারি গ্রামের সুরেশ চন্দ্র, নরেন্দ্র বর্মন, মোকছেদ আলী, আব্দুল খালেকসহ কয়েকজন কৃষক জানান, আগাম সবজি বাজারজাত করনের লক্ষে আমরা প্রতি বছর অনেকটা আগে ভাগেই জমিতে চাষ শুরু করে থাকি। এতে খরচ কম লাভ বেশি পাওয়া যায়। যে সবজির প্রতি চাহিদা বেশি থাকে সেটাই আগে চাষ করি এ বছর সবচেয়ে চাষ করা হয়েছে ফুলকপি ও বাধাঁকপি। শীতকালীন সবজি হিসেবে এদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এক বিঘা জমিতে কপি আবাদে খরচ হয় এক লাখ টাকা। আর এ থেকে কপি পাওয়া যাবে কমপক্ষে ১২ হাজার পিচ কপি। নতুন অবস্থায় প্রতি পিচ ফুল কপি বিক্রি হবে ১৫-২০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘায় খরচ বাদ দিয়ে পাওয়া যাবে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তাই শীতকালীন সবজি আবাদে সবচেয়ে পরিশ্রম করে এ অঞ্চলের চাষীরা।


এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরশেদ আলী জানান, আমরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। এ জেলার মাটির গুণাগুণ ভাল বলেই সবজির আবাদ হয় বেশি। এবারও আগাম সবজি আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি দেশের চাহিদা পূরণ ও দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররাও লাভবান হবেন বলে মনে করেন এই উপপরিচালক।


বিবার্তা/সাজু/জেমি/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com