ঢাকা এবং গাজীপুরের ৭২ শতাংশ এবং নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ৭৬ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটি সম্পর্কে অবহিত। কিন্তু প্রয়োজনে এই ছুটি পাওয়া যায় না। যৌন হয়রানি হলে অভিযোগ করলে খোয়াতে হয় চাকরি। ৭২ শতাংশ শ্রমিকের নিয়োগপত্র নেই। তবে পরিচয়পত্র পেয়েছেন বেশিরভাগ শ্রমিক।
ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত ৭৭০ জন শ্রমিকের ওপর পরিচালিত সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে পরিচালিত ওই সমীক্ষা বলা হয়, ৫০ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, মাসের ৭ তারিখে বেতন পাওয়া যায় না। নানা অজুহাতে বেতন কাটা হয়। ঢাকা ও গাজীপুরের প্রায় ৩০ ভাগ এবং নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের প্রায় ৪১ ভাগ শ্রমিক বলেছেন কি কারণে বেতন কাটার কোন যুক্তি দেয়া হয় না। প্রায় ৮০ শতাংশ শ্রমিক তাদের কারখানায় সরকারি কোনো পরিদর্শককে দেখেননি।
বুধবার গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে আযোজিত এক অনুষ্ঠানে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রমপ্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, গার্মেন্টখাতে সংকট আছে, তবে তা আগের চেয়ে অনেক কমেছে।
হতাশ হবার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রেতারা একদিকে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য চাপ দেয়, আবার পণ্যের নায্য দাম দেয় না। এটা কি ঠিক?
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]