শিরোনাম
১০ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২০০ শতাংশ
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৮, ০৯:৪০
১০ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২০০ শতাংশ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গত ১০ বছরে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সারাদেশে পল্লী ও নগর এলাকায় সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বিগত ১০ বছরে জীবনযাত্রার মান ১৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ছিলো ৫৪৩ মার্কিন ডলার। দশ বছর পরে এসে ২০১৬ সালে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১০ মার্কিন ডলার।


জিএনআই এ বিস্ময়কর বৃদ্ধির তিনটি পূর্ব শর্তের মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) গ্রুপ থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের মাথাপিছু জিএনআই হতে হবে ১,২৩০ মার্কিন ডলার অথবা তার ঊর্ধ্বে।


জিএনআই বৃদ্ধি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এবং সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


ঢাকায় বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।


সমষ্টিক অর্থনীতির সূচক স্থিতিশীল উল্লেখ করে জিএনআই এই বৃদ্ধির প্রবণতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকার ব্যপারে আশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে বেড়িয়ে আসবে। তবে এলডিসি থেকে বেড়িয়ে আসার পর বাংলাদেশকে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি অর্থাৎ পরিকল্পনা এখন থেকেই নিতে হবে।


অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে অতিরিক্ত সচিব মানিক চন্দ্র দে বলেন, ভিশন-২০২১সহ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অজর্নে দেশের অর্থনীতির জন্য এলডিসি থেকে বেড়িয়ে আসার সক্ষমতা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। জিডিপিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি মাথাপিছু আয় বুদ্ধিতে অবদান রেখেছে।


এলডিসি থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য সক্ষমতা অজর্নের উল্লেখ করে চট্রগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডর্ষ্টির (সিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি এম নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে জীবনযাত্রার মান বেড়েছে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে বসবাসরত মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে।


চেম্বার নেতা বলেন, আগের চেয়ে মানুষ এখন উন্নত জীবনযাপন করার জন্য বেশি টাকা ব্যয় করার পর থেকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।


মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম শফিউল আজম বলেন, তৃণমূল পযার্য়ের জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আওতায় নিয়ে আসতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে তার ব্যাংক সারাদেশে প্রায় এজেন্ট পয়েন্ট খুলেছে। এজেন্ট পয়েন্ট থেকে আমরা লক্ষ্য করছি তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা তাদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দময় করতে ফ্রিজ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে বেশি বেশি অর্থ ব্যয় করছে।


রহিমা আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, তিনি এখন শহরে বসবাস করেন। স্বামী ও স্কুলগামী দুটি শিশু সন্তান নিয়ে তিনি এখন সুখেই আসেন। গত কয়েক বছরে তার ব্যবসায়ী স্বামীর আয় আগের চেয়ে বেড়েছে। তার স্বামী রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় একজন মুদি দোকানদার। তার দোকানে গত কয়েক বছর আগের চেয়ে এখন দিন দিন বেচাবিক্রি বাড়ছে।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com