শিরোনাম
‘অনলাইন ব্যাংক জালিয়াতিতে প্রত্যক্ষভাবে ব্যাংকাররা জড়িত’
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:৫৯
‘অনলাইন ব্যাংক জালিয়াতিতে প্রত্যক্ষভাবে ব্যাংকাররা জড়িত’
বিবার্তা প্রতিবদেক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের অনলাইন ব্যাংকিং খাত উন্নতির পাশাপাশি ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। দেশের অনলাইন ব্যাংকিং বা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে ৬৭ শতাংশ জালিয়াতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকাররা জড়িত। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে।


মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম সেবায় বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি তৈরি করেছে। আইটি বিশেষজ্ঞ ও আইটি ফার্মের সঙ্গে যোগসাজশে ব্যাংকাররা এ জালিয়াতি করে থাকেন বলে জানা গেছে ওই প্রতিবেদন থেকে।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম’র অডিটোরিয়ামে অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল : অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ অব দি নিউ ব্যাংকিং ইনভারমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৬৭ শতাংশ অনলাইন ব্যাংকিং জালিয়াতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত। আইটি বিশেষজ্ঞ এবং আইটি ফার্মের সঙ্গে যোগসাজশে ব্যাংক কর্মকর্তারা এ জালিয়াতি করে থাকেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ জালিয়াতি ব্যাংক কর্মকর্তা এবং আইটি বিশেষজ্ঞরা ঘটান। শুধু ব্যাংক কর্মকর্তারা ১৮ শতাংশ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ৯ শতাংশ জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তা এবং আইটি ফার্মের যোগসাজশ রয়েছে। ব্যাংকিং খাতের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ৫০টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিআইবিএম।


কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, অনলাইনভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে কমে গেছে। মাত্র ২ লাখ জনবল দিয়ে এতগুলো ব্যাংক কয়েক হাজার শাখা পরিচালনা করছে। অনলাইন ব্যাংকিং চালু না হলে এতগুলো শাখা পরিচালনায় ১০ লাখেরও বেশি জনবল প্রয়োজন হতো।


তিনি বলেন, বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা খুবই ভালো। কিন্তু এর অপব্যবহার হলে আর্থিক খাতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনা হচ্ছে। ব্যাংকারদের প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আর্থিক খাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।


অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। ১০ টাকার হিসাব খোলার সুযোগ দিয়ে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাইকে আর্থিক অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এ সুযোগ আরো বাড়াতে হবে। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইটিতে দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।


বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, বাংলাদেশের সবাইকে ১০ টাকার হিসাব খোলার জন্য বাধ্যবাধকতা করতে হবে।


এ সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর ফলে ব্যাকিং খাতে জালিয়াতি অনেক কমে এসেছে।


বিবার্তা/ইমদাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com