শিরোনাম
আগামী বাজেট হবে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৮
আগামী বাজেট হবে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা : অর্থমন্ত্রী
ফাইল ফটো
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।


তিনি বলেন, বর্তমান বাজেটের আকার চার লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। আমরা আশা করছি আগামী বছর অন্তত পক্ষে তা সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি হবে। পরের বছর আরো বাড়বে। এভাবে বাজেটকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এজন্য করদাতাদের এগিয়ে আসতে হবে।


মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-৩ আয়োজিত ‘আয়কর ক্যাম্প ও করদাতা উদ্ধুদ্ধকরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


কর অঞ্চল-৩ এর কমিশনার নাহার ফেরদৌস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা,এনবিআর চেয়ারম্যান মো.নজিবুর রহমান, এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


৪০ বছর বয়সী করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া অত্যন্ত ভাল লক্ষণ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ৪০ বছর বয়সের বেশিরভাগ মানুষ এখন কর দেন। গত ৮-৯ বছর ধরে এ সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এটা অত্যন্ত আশা ও গর্বের কথা। তবে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে কর কর্মকর্তাদের আরো বেশি করদাতাবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


তিনি বলেন,গত ৪০ বছর ধরে আমি করের সাথে সম্পৃক্ত। তখন কর যারা আদায় করতো মানুষ তাদের ভয় করতো। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আগে নিবন্ধিত করদাতা ৭ লাখ থাকলেও কর দিত অনেক কম। এখন নিবন্ধিত করদাতা ৩০ লাখ। এরমধ্যে কর দেয় প্রায় ২৪ লাখ।


মুহিত বলেন, বাজেটের আকার বাড়ানোর উদ্দেশ্য হলো-যাতে আমরা মানুষকে নানা ধরনের সেবা দিতে পারি। আমরা সমাজ সেবামূলক কাজে জাতীয় আয়ের ২ শতাংশ ব্যয় করি। সেটা অনবরত বাড়িয়ে যাচ্ছি। করদাতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবাই সহায়তা না করলে রাষ্ট্র সামনের দিকে এগুতে পারবে না। আপনারা যদি রাষ্ট্রের জন্য রসদ সরবরাহ না করেন, কর না দেন, শুল্ক না দেন তাহলে রাষ্ট্র কি করে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করবে।


সরকারের কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে-দেশকে দারিদ্রমুক্ত করা। যাতে দেশে প্রকৃত দরিদ্র মানুষ না থাকে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা থাকবে ৭ শতাংশের মতো। এর মধ্যে থাকবে প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ ও নারী। এই ৭ শতাংশ রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে। এটা হলো আমাদের ভিশন। জাতিসংঘের হিসেবে এ ভিশন ২০৩০ সালে বাস্তবায়ন হবে, কিন্তু আমার হিসেবে ২০২৪ সালে এটি অর্জন করা সম্ভব হবে।


অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, ট্যাক্স ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা করদাতাদের দোরগোড়ায় যাচ্ছি। সুদূর চর কুকরি-মুকরি এবং টেকনাফ থেকে তেতুলিয়াসহ সারাদেশে ক্যাম্প হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ট্যাক্স ক্যাম্পের মাধ্যমে নতুন করদাতা সংগ্রহ করা হচ্ছে।


তিনি জানান, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর আয়কর মেলা হবে। আর নভেম্বরের ২৪ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত পালিত হবে জাতীয় আয়কর সপ্তাহ।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করছি। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণ হচ্ছে আমাদের একটি নিজস্ব আয়কর দিবস রয়েছে। নভেম্বর মাস এখন বাংলাদেশের জন্য আয়কর প্রদানের একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে।


বিবার্তা/রোকন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com