বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল (ডুয়েল ফুয়েল) উৎপাদন ক্ষমতার শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আগস্ট মাসের শেসদিকে পুরোদমে উৎপাদনে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রের সকল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন কমিশনিং চলছে। গত রোজার আগে প্রথম পর্যায়ে ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন শুরু হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৫ মেগাওয়াট আগস্টের শেষের দিকে উৎপাদনে আসবে বলে জানান কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক। সব দিক বিবেচনা করে-দ্বৈত জ্বালানি বা ডুয়েল-ফুয়েল (ডিজেল ও গ্যাস) সুবিধায় এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। তেল অথবা গ্যাস যে কোনো একটি মাধ্যমে চালানো যাবে।
এ ব্যাপারে শিকলবাহা ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল (ডুয়েল ফুয়েল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোতাহের হোসেন বিবার্তাকে জানান, ২২৫ মেগাওয়াটের মধ্যে ১৫০ মেগাওয়াট আমরা উৎপাদন করছি। গত রোজার আগে উৎপাদন শুরু করেছি। অবশিষ্ট ৭৫ মেগাওয়াট আগস্টের শেষের দিকে উৎপাদন শুরু হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সকল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন কমিশনিং চলছে। আগস্টের শেষের দিকে এই কেন্দ্র থেকে একসাথে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানান প্রকৌশলী মোতাহের হোসেন।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক চারটি দাতাসংস্থার অর্থায়নে মোট দুই হাজার ২২ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার টাকায় নির্মিত হয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এটি নির্মাণে সরকারি অর্থায়নের পরিমাণ ৩৭১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া প্রকল্প সাহায্য হিসেবে চার দেশ- সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি), কুয়েত ফান্ড, আবুধাবী ফান্ড ও ওপেক-এর অর্থসহায়তার পরিমাণ ১৩৭৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে ২৭৫ কোটি আট লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
চুক্তি মোতাবেক ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দুই পর্যায়ে এই কেন্দ্র পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই প্রথম পর্যায়ে ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন শুরু হচ্ছে আগামী মাসে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোদমে (২২৫ মেগাওয়াট) উৎপাদন শুরু করলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের শিল্প কারখানাসমূহের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হবে, লো ভোল্টেজ সমস্যার সমাধান হবে, পিক আওয়ারে লোডশেডিং হ্রাস পাবে।
প্রকৌশলীরা জানান, ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভারতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে শিকলবাহা এলাকায় প্রায় ৮ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য। বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল যন্ত্রপাতি জার্মানির সিমেন্স কোম্পানির এবং ভারতীয় অক্সিলারি কোম্পানির।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]