শিরোনাম
২৬ শতাংশ ব্যাংক সাইবার ঝুঁকি রোধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৮:৫৯
২৬ শতাংশ ব্যাংক সাইবার ঝুঁকি রোধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সাইবার ঝুঁকি রোধে দেশের ২৬ শতাংশ সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের পাঁচ হাজারের বেশি শাখায় সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো ধরনের ট্রেনিং বা সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছায় না। এ অবস্থায় দেশব্যাপী ব্যাংকের শাথা যত বাড়ছে সাইবার ঝুঁকি তত বাড়ছে।


রোববার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘ব্যাংকের তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রস্তুতি’ শীর্ষক কর্মশালায় এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।


বিআইবিএম ও ট্রান্স আইটি সলিউশন যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন তথ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রুবাইয়াত আকবর।


প্রতিবেদন বলা হয়, প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে বিশ্বের কোনো না কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একবার সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা। শুধু র‌্যান্সামওয়ারের (মানব সৃষ্ট ভুল) কারণেই ২০১৬ সালে ক্ষতি হয়েছে এক বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ সাইবার অপরাধজনিত ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ছয় ট্রিলিয়ন ডলার।


মূল প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে হ্যাকাররা প্রথমেই টার্গেট করে ব্যাংকের সাধারণ কর্মীদের। তাদের ভুলের ফাঁদে ফেলে গ্রাহক তথ্য চুরি এবং পেমেন্ট সিস্টেমে অনধিকার প্রবেশ করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালায়।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করতে ব্যাংকের সর্বস্তরে অধিকতর সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই। হ্যাকারদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক ও ব্যাংকিং খাত, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে কর্মরত সবাইকে সাইবার আক্রমণের ধরন সম্পর্কে ধারণা লাভ ও এর প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।


গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান আইটি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। একই সঙ্গে আইটি নিরাপত্তা বিষয়ে একটি গাইডলাইনও প্রস্তুত করেছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এজন্য স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে। প্রত্যেকটি ব্যাংককে আলাদাভাবে সাইবার সিকিউরিটি স্ট্রাটেজি প্রণয়ন করতে হবে।


বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।


বিবার্তা/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com