শিরোনাম
মুসলিম ভোক্তা টানতে ‘হালাল’ প্রসাধন উৎপাদন
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:৩৭
মুসলিম ভোক্তা টানতে ‘হালাল’ প্রসাধন উৎপাদন
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তা কোম্পানিগুলো এখন ‘হালাল ক্রিম এবং শ্যাম্পু’বানাতে শুরু করেছে। এক তথ্যে রয়টার্স জানায়, পশ্চিমা বিশ্বে তাদের পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলোর বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এজন্য নতুন নীতি গ্রহণ করেছে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো।


ইন্দোনেশিয়ার বাজারকে দখল করার লক্ষ্যে সম্প্রতি এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ইউনিলিভার, বিয়ার্সডর্ফ এবং ল’রিয়েলের মতো নামকরা বহুজাতিক কোম্পানি। বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত দেশটির নতুন আইন অনুসারে- ২০১৭ সালের মধ্যে দেশটির সর্বস্তরে হালাল খাদ্য, ২০১৮ সালের মধ্যে হালাল প্রসাধনী এবং ২০১৯ সালের মধ্যে হালাল ওষুধ নিশ্চিত করতে হবে।



আন্তর্জাতিক বাজার গবেষক দেলত্তি তমাতসু বলেন, গত এক বছরে হালাল পণ্যের বিক্রির হার ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে মোট বিক্রিত হালাল পণ্যের মধ্যে শুধু প্রসাধনী বিক্রির হার ১১ শতাংশ। নগদ আর্থিক মূল্যে তা এক ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক। মালয়েশিয়ায় বেশ কিছুদিন আগেই স্থানীয়ভাবে অনেক হালাল পণ্য উৎপাদন শুরু হয়েছে। সে বাজারগুলোই ধরতে চাইছে খ্যাতনামা কোম্পানিগুলো।


এদিকে কোম্পানিগুলো বলছে, দ্রুত বর্ধনশীল মুসলিম মধ্যবিত্তদের মধ্যে ক্রমেই বিভিন্ন প্রসাধনীর চাহিদা বাড়ছে। তবে তারা হালাল প্রসাধনীর ব্যাপারে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এমনকি কৃত্রিম চুল থেকে শুরু করে অন্যান্য সব নিত্যব্যবহার্য হালাল পণ্য ব্যবহারের ব্যাপারে মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়াসহ অন্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে ইন্দোনেশিয়া।



জার্মান প্রসাধনী কোম্পানি ল’রিয়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হালাল’হল একটি অফিসিয়াল স্বীকৃতি, যেটা নিশ্চিত করে যে পণ্যটি ইসলামী শরিয়াহ অনুসারে উৎপাদিত হয়েছে। এর মানে হল, পণ্যগুলোর মধ্যে শূকর, অ্যালকোহল এবং রক্তজাতীয় কোনো পদার্থের মিশ্রণ নেই। পরিষ্কার এবং দূষণমুক্ত। এটি নিশ্চিত করতে পারলে বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের মধ্যে আলাদাভাবে ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়ার একটা সুযোগ আছে। এতে বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ মানুষের মূল্যবোধের প্রতিও সম্মান দেখানো হয়। এবং বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর ব্যবসার বিস্তৃতিও নিশ্চিত হবে।


ইতিমধ্যে মুসলিম ভোক্তাদের লক্ষ্য করে হালাল টুথপেস্ট এবং বডি জেল তৈরি করেছে ইউনিলিভার। নারীদের প্রসাধনীর ব্যাপারে তারা বলছে, ইন্দোনেশিয়া এবং সৌদি আরব- উভয়েই মুসলিম দেশ হলেও দুই স্থানের নারীদের রূপচর্চার পছন্দ পুরোপুরি আলাদা। তাদের জন্য পৃথক প্রসাধনী উদ্যোগ নিচ্ছে তারা।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com