শিরোনাম
সীতাকুণ্ড টার্মিনাল: সম্ভাব্যতা রিপোর্ট মিলবে আগামী বছর
প্রকাশ : ২২ মে ২০১৭, ১২:৫৮
সীতাকুণ্ড টার্মিনাল: সম্ভাব্যতা রিপোর্ট মিলবে আগামী বছর
এটা প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারি পর্যায়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলায় সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ের সীমান্তেই হবে সীতাকুণ্ড টার্মিনাল। তবে এই ক্ষুদে সমুদ্রবন্দরে কতো ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে, ড্রেজিং বাবদ কত টাকা খরচ হবে, কী পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হতে পারে এবং সেই হিসেবে কতো বছর পর বিনিয়োগকৃত অর্থ উঠে আসবে এ ধরনের অনেক প্রশ্নের উত্তর পেতে নিয়োগ করা হচ্ছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকাও তৈরি করা হয়েছে এবং আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে হয়তো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।


সীতাকুণ্ড এলাকায় বন্দর নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশনা আসে গত বছরের মাঝামাঝিতে। সেই আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টিম সমীক্ষা পরিচালনা করে। সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। বন্দরের পক্ষ থেকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং সেই অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত তালিকাও করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যাচাই বাছাই শেষে সেখান থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বলেন, ‘পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য শর্ট লিস্ট করা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা চূড়ান্তভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেব। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রায় সাত থেকে আট মাস সময় লাগতে পারে।’


তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্ট পাওয়ার পর কোথায় কী পরিমাণ ড্রেজিং করতে হবে কিংবা এতে কত খরচ হতে পারে তা জানা যাবে। একইসাথে একটি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য মাটির গুণগত মান পরীক্ষার পাশাপাশি এর অর্থনৈতিক মূল্য কেমন হতে পারে তা জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ধারণা অনুসারে এই এলাকায় সর্বোচ্চ জোয়ারে ৮ থেকে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে।’


টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জায়গা অধিগ্রহণ সম্পর্কে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আমাদের অনেক জায়গার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে চাহিদা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বেজার (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল) অনেক জায়গা রয়েছে, প্রয়োজনে সেখান থেকেও জায়গা নেয়া যাবে।’


গত ৪ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর এলাকায় টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে যায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবালসহ বন্দরের ছয় সদস্যের একটি টিম। এই স্থানটিতে ভাটার সময় ৭ থেকে সাড়ে ৭ মিটার এবং জোয়ারের সময় ৮ থেকে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানোর অবস্থা রয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়। মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সহজেই এই ড্রাফট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।


জানা গেছে, এখানে দেড় কিলোমিটার জায়গায় ৬টি জেটি নির্মাণ করা সম্ভব। এখান থেকে মীরসরাই ইকোনমিক জোনের দিকে ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকা বন্দরের আওতায় নিয়ে আসা হতে পারে। আর সাগর পাড় দিয়ে একটি বিশেষ সড়ক নির্মাণ করা হতে পারে। এই সড়ক দিয়ে মীরসরাই ইকোনমিক জোনে যেমন যাতায়াত করা যাবে তেমনিভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথেও যাতায়াত করা যাবে।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com