শিরোনাম
সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ৭৪%
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ১৭:৫৩
সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ৭৪%
মৌসুমী ইসলাম
প্রিন্ট অ-অ+

বেড়েই চলেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। সুদহার বেশি, তাই অর্থবছরের দুই মাস (জুলাই ও আগস্ট) ৭,৭৯৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে সরকার। আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে নিট বিক্রি হয়েছিল ৪,৬২৮ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে বিক্রি বেড়েছে ৩,১৬৭ কোটি টাকা বা ৭৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।


সুদের হার কমানোর পরও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে এখনও অন্য যে কোনো স্কিম থেকে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়, সে কারণেই বিক্রি বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।


জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাইতে নীট বিক্রি হয় ৩,৪৯৮ কোটি টাকা। আর দ্বিতীয় মাস আগস্টে বিক্রি আরো বেশি হয়ে ৪,২৯৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগস্টে মোট বিক্রি হয়েছে ৬,৩২৮ কোটি টাকা। আর দুই মাসে মোট বিক্রি ১১,২৫৯ কোটি টাকা।এর মধ্যে নিট বিক্রি ৭,৭৯৫ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪০ শতাংশ।


২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৯,৬১০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমা্ত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,৬৩৪ কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের দুই মাসেই বিক্রি হয় দ্বিগুণেরও বেশি।


গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটে এই লক্ষ্য ছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিক্রি বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে তা প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে নিট বিক্রি তার চেয়েও ৫,৬৮৮ কোটি টাকা বেড়ে ৩৩,৬৮৮ কোটি টাকায় পৌঁছায়।


অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে ব্যাংক আমানতে গড় সুদহার ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তাই বেশি মুনাফা পাওয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ সঞ্চয়পত্রের দিকেই ঝুঁকছে মানুষ।


এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকে আমানতের সুদের হার হ্রাস এবং পুঁজিবাজারে মন্দার কারণে মানুষ এদিকে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য জমা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়েই আমানতের সুদ কমিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে সঞ্চয়পত্রকে এখন অনেক বেশি লাভজনক মনে করছে।


অন্যদিকে, বিক্রি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের ২৩ মে সবধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার গড়ে ২ শতাংশ করে কমানো হয়। গত বছরের এপ্রিল মাসের আগ পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদি এক লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনলে প্রতি মাসে ১,০৭০ টাকা মুনাফা পেতেন একজন গ্রাহক। সুদের হার কমায় এখন পাচ্ছেন ৯১২ টাকা। তারপরও বিক্রি কমছে না।


বর্তমানে ৫ বছর মেয়াদি পারিবারিক সঞ্চয়পত্র সুদহার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এছাড়া ৫ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ৩ বছর মেয়াদি ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩ বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ও ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com