শিরোনাম
আরটিজিএস: দৈনিক পরিশোধ ৫০০০ কোটি টাকা
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ১৫:৪০
আরটিজিএস: দৈনিক পরিশোধ ৫০০০ কোটি টাকা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে আর্থিক খাতে চালু হওয়া রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএস দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এক ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংকের লেনদেন তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তিতে এই আধুনিক লেনদেন পদ্ধতি চালু হয়।


প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, আরটিজিএস পদ্ধতিতে এখন দৈনিক পরিশোধ হচ্ছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। ৫৫টি ব্যাংকের সাড়ে পাঁচ হাজার শাখার গ্রাহকরা তাৎক্ষণিক লেনদেনের এ সুযোগ নিচ্ছেন। একসময় এ ধরনের লেনদেন নিষ্পত্তি করতে দেড় থেকে দুই দিন সময় লাগতো।


২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আরটিজিএস চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এক লাখ টাকা বা তার বেশি অংকের চেক আরটিজিএসে নিষ্পত্তি হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব লেনদেন এ উপায়ে নিষ্পত্তির পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। বর্তমানে সারাদেশে নয় হাজার ৫৪৩টি ব্যাংক শাখার মধ্যে অনলাইনের আওতায় রয়েছে সাত হাজার ১৬৭টি। অনলাইন শাখাগুলোর মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৭১টি শাখায় আরটিজিএসে লেনদেন হচ্ছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, গত সেপ্টেম্বরে আরটিজিএসের মাধ্যমে ২০ হাজার ৫৫২টি লেনদেনের বিপরীতে পরিশোধ হয়েছে ৯৩ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। ১৮ কর্মদিবসে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। আগের মাস আগস্টে প্রতি কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। এর আগে গত জুনে এ উপায়ে ২০ হাজার ৯৪৬টি চেকের বিপরীতে এক লাখ ২৭ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এতে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।



সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রুত নিষ্পত্তির সুযোগের ফলে আরটিজিএসে গ্রাহকসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। শুরুর দিকে এই মাধ্যম ব্যবহার করে শুধু এক ব্যাংক অন্য ব্যাংককে পরিশোধ করত। এখন অনেক গ্রাহক এ উপায়ে পরিশোধ করছেন। দেশে কার্যরত ৫৬টি ব্যাংকের মধ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ছাড়া অন্য সব ব্যাংক আরটিজিএসের সঙ্গে সংযুক্তে আছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, আরটিজিএসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পরিশোধ করার সুযোগ থাকায় এটি দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পরিশোধের পাশাপাশি এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের লেনদেন নিষ্পত্তি করছে।


তিনি বলেন, ভিপিএন ও সুইফট- এই দুই পদ্ধতিতে আরটিজিএসে লেনদেন হতো। তিনটি ছাড়া অন্য ব্যাংকগুলো ভিপিএনের মাধ্যমে লেনদেন করত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির পর সুইফট নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সুইফট ব্যবহারকারী তিন ব্যাংককে এখন ভিন্ন উপায়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে।


বিবার্তা/জিয়া/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com