শিরোনাম
রাজস্ব আদায় : এনবিআর বলছে এক কথা, অর্থমন্ত্রণালয় আরেক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৩
রাজস্ব আদায় : এনবিআর বলছে এক কথা, অর্থমন্ত্রণালয় আরেক
মৌসুমী ইসলাম
প্রিন্ট অ-অ+

রাজস্ব আদায়ের তথ্য নিয়ে তৈরী হয়েছে বিভ্রান্তি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে রাজস্ব আদায়ের যে তথ্য দেয়া হয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। ফলে প্রতিবছরই বাড়ছে পার্থক্যের পরিমাণ।


বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে এবং এতে প্রকৃত চিত্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। একইসঙ্গে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের কারণে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে।


প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৯৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের তথ্য দিয়েছে এনবিআর। তবে, তার চেয়ে ৩,৪৬৯ কোটি টাকার কম দেখিয়ে অর্থমন্ত্রণালয় বলছে, ওই অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের প্রকৃত পরিমাণ ৯১ হাজার কোটি টাকা। একই চিত্র দেখা যায় ২০১২-১৩ অর্থবছরেও। ওই বছর এনবিআর বলেছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ১০৯ হাজার কোটি টাকা। আর অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, ১০৩ হাজার কোটি টাকা। দুই তথ্যে পার্থক্য ৫,৮২০ কোটি টাকার।


২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের তথ্য দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। তবে এনবিআর বলছে, ওই অর্থবছরে আদায়ের পরিমাণ ১২০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ে তথ্যগত পার্থক্য দাঁড়ায় ৯,০৯২ কোটি টাকা।


২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় পার্থক্য দাঁড়ায় সবচেয়ে বেশি, যার পরিমাণ ১২,৭৬৫ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে এনবিআর থেকে রাজস্ব আদায় তথ্য দেয়া হয় ১৩৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থমন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ১২৩ হাজার কোটি টাকা।


গত অর্থবছরে ১৫৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের তথ্য দেয় এনবিআর। তবে অর্থমন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এর পরিমাণ ১৪৬ হাজার কোটি টাকা। দুই দফতরের দেয়া তথ্যের পার্থক্য ৯,২৯৮ কোটি টাকা।


চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেও রাজস্ব আদায় তথ্যে পার্থক্য হয়েছে ১,১৭২ কোটি টাকা। এনবিআর বলছে, এই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার। আর অর্থমন্ত্রণালয় বলছে, এই সময়ে রাজস্ব আদায়ের প্রকৃত পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা।


এই তথ্যগত বিভ্রান্তি নিয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের মূখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, তথ্যগত পার্থক্য থাকায় রাজস্ব আদায়ের প্রকৃত চিত্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। সরকারও প্রকৃত চিত্র না জানায় সংকট তৈরি হচ্ছে।


এ বিষয়ে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়ায় কিছুটা গরমিল হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। সনাতনী ব্যবস্থায় হিসাব পরিচালনার কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে।


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com