ন্যায্য দাম না পেয়ে দিনভর সংগ্রহ করা কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে গেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তারা অভিযোগ করেছেন, আড়তদাররা তাদের কেনা দামও দিতে চাননি। তাই তারা চামড়া ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দরদাম করেও বিক্রি করতে না পেরে অবশেষে চামড়া রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যেতে বাধ্য হন তারা। এতে তাদের অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে একদম কম দাম কিংবা কৌশলে সময় নষ্ট করে দাম কম দেয়ার প্রস্তাবের অভিযোগ মানতে চাইছেন না আড়তদাররা। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পচা চামড়া এনেছেন বলে দায় এড়াচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর পোস্তা ও ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আশপাশের বেশ কিছু আড়তের মোকামের সামনের প্রধান সড়কে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) শত শত নষ্ট চামড়া পড়ে রয়েছে; পরে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সেগুলো বর্জ্য হিসেবে নিয়ে যায়। রাস্তার পাশাপাশি অনেক এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়া নালা-নর্দমাতেও ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই দুই এলাকায় রাস্তার পাশে অনেক কাঁচাচামড়া পড়ে থাকতে দেখা যায়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরও দু-একজায়গায় ফেলে দেয়া এসব চামড়া ময়লার গাড়িতে তুলতে দেখা গেছে। ওই এলাকায় খোঁজাখুজির পর চামড়া ফেলে দিয়েছেন এমন মৌসুমী ব্যবসায়ী বাদল বলেন, গত বুধবার সারাদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় গরুর চামড়া সংগ্রহ করে রাত আটটার দিকে আড়তে বিক্রি করতে নিয়ে আসি। কিন্তু আড়তদাররা গড়ে ৩০০ টাকা করে দাম দিতে চান। এরপর দরকষাকষি করতে করতে সময় নষ্ট হয়, রাত গভীর হয়। পরে আড়তদাররা আমার সংগ্রহ করা চামড়া পচে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে চামড়া না নিয়ে আড়ত বন্ধ করে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, তবুও সারারাত অপেক্ষায় ছিলাম যদি কোনো গতি করা যায়। শেষ পর্যন্ত ভোরে এসব চামড়া আমরা রাস্তায় ফেলে দেই। আমার মত আরো অনেকেই ছিলেন। তারাও শেষ পর্যন্ত বাড়িতে চলে গেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অনেকেই তাদের সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। বুধবার গভীর রাত পর্যন্তও যাদের চামড়া আড়তদাররা নেননি সেগুলো পচে যায়। পরে তারা এগুলো রাস্তায় রেখেই চলে যান।
অন্যদিকে পোস্তার কাঁচাচামড়া ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হাজি টিপু সুলতান বলেন, আমরা যথারীতি সরকারের বেঁধে দেয়া দামে, অনেক ক্ষেত্রে সেই দামের চেয়েও বেশি দামে চামড়া কিনেছি। সবচেয়ে ছোট গরুর চামড়া ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে বড় চামড়া ৯০০ টাকা পর্যন্ত কিনেছি।
বিবার্তা/বিআর/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]