শিরোনাম
স্পেনের ‘নাইট অফিসার’ উপাধিতে ভূষিত এনভয় গ্রুপ চেয়ারম্যান
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২০, ২৩:৫৯
স্পেনের ‘নাইট অফিসার’ উপাধিতে ভূষিত এনভয় গ্রুপ চেয়ারম্যান
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

স্পেনের রাজার দেয়া সর্বোচ্চ উপাধি ‘নাইট অফিসার’ এ ভূষিত হয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং শেল্টেক ও এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবুদ্দিন আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনভয় টেক্সটাইলের পরিচালক তানভীর আহমেদ।


কুতুবুদ্দিন আহমেদ ২০০২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার এবং ২০১৬ সালে সেরা ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছিলেন।তিনি বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারিংয় বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন। শুধু উদ্যোক্তা কিংবা তৈরি পোশাক নয় , তিনি একাধারে আবাসন শিল্প, নির্মাণ শিল্প, সিরামিক, এভিয়েশনসহ অন্যান্য খাতেও একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।


তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি কুতুবুদ্দিন আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।


কুতুবুদ্দিন আহমেদের এই অর্জন এত সহজে আসেনি।বিভিন্ন সময় তিনি গনমাধ্যমের কাছে তার জীবনের গল্প শেয়ার করেছেন।


কুতুবুদ্দিন আহমেদ বলেন, জীবনে সব সময় দুটি জিনিস মেনে চলেছি। বড় হতে হলে স্বপ্ন দেখতে-জানতে হয়। অবশ্য সব স্বপ্নই বাস্তবায়িত হবে এমন নয়। যদি এর ৬০ বা ৭০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয় তাহলেই মানুষের জীবন বদলে যায়। দ্বিতীয় হল ব্যবসা করতে মূলধন লাগে না- স্বপ্ন ও সাহস লাগে। আমিই এর বড় প্রমাণ। যখন ব্যবসা শুরু করি তখন সাহস, সততা আর পরিশ্রম করার মানসিকতা ছাড়া আর কোন মূলধন ছিল না আমার। আজ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হতে পেরেছি কেবল স্বপ্ন দেখার অভ্যাসের কারণে।


আমার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের গল্প আর দশজনের মতোই সাধারণ। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, ফলে ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করব, বড়লোক হব। শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক আমার কাছের বন্ধু। স্কুল, কলেজ এবং বুয়েটে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। দু’জনের বন্ধুত্ব ৪৫ বছরের বেশি। বুয়েটে পড়াকালীন দুই বন্ধু মিলে রাতে আড্ডা দিতাম। সে সময়ও দু’জনের চিন্তা ছিলো কিভাবে বড়লোক হওয়া যায়। দুজনেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ৫ বোনের একমাত্র ভাই আমি। বাবার সরকারি চাকরি। সব ভাইবোনের পড়াশোনার খরচ জোগানো তার পক্ষে কষ্টকর হয়ে যেত। ফলে টাকা পয়সা নিয়ে টানাপোড়েন লেগেই থাকত সংসারে।


এমন পরিবারের ছেলেদের বড়লোক বা বিত্তবান হবার স্বপ্ন সব সময় থাকে। আমার বোধহয় তা একটু বেশিই ছিল। বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেরোলাম। পাশ করার পর সরকারি চাকরিতে এসিট্যান্ট ইঞ্চিনিয়ারের বেতন ছিলো ১১‘শ ৫০ টাকা। সে সময় ভাবতাম, মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারলেও আর কিছু চিন্তা করবো না; আরামের জীবনটা কাটাব।


ঢাকাতে পৈত্রিক বাড়ি ছিলো আমাদের দুই বন্ধুরই। একে সৌভাগ্য বলতে পারেন। সেটি আহামরি কিছু না, কিন্তু মাথাগোজার জন্য অন্যের দারস্থ হতে হয়নি কখনো। মগবাজারে সে বাড়িটা এখনো আছে। তবে ওখানে চ্যারিটি হাসপাতাল চালাই এখন।


বুয়েট থেকে বের হওয়ার পর চাকরি নিলাম, বিয়ে করলাম। যখন বিয়ে করি তখন জনতা ব্যাংকের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতাম। অবশ্য পাশ করার এক বছরের মধ্যেই সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলাম ৭টি ইনক্রিমেন্ট নিয়ে। বিয়ের আগেই আমার বাবা মারা যান। বড় ৫ বোনের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা বউয়ের গয়নার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আমি কেবল এনগেজমেন্ট রিংটি কিনেছিলাম। বউভাত করতে গিয়ে আটকে গেলাম। বউভাত করার পয়সা নাই। টাকা জোগাড় করতে পারি না। আবার বউভাত তো করতেই হবে। আমার এক বোনের স্বামী ডাক্তার। তারা সে সময় ইরানে। দেশে কিছু কিছু টাকা পাঠাতেন। ওই টাকার নমিনি আমি। বহু কষ্টে ইরানে বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তার স্বামীর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিলাম বৌভাত করার জন্য। বললাম ধীরে ধীরে শোধ দেবো।


চাকরির কারণে সারাদেশে ট্যুর করতে হতো। বেতন আর ট্যুর অ্যালাউন্স মিলিয়ে মাসে সৎভাবেই প্রায় ৫ হাজার টাকা রোজগার হত। ঘুষ নেয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু কোনদিন নেইনি। আজকের অনেক বড় ব্যবসায়ীদের সে সময় প্রজেক্ট দিয়েছি আমি। দারুণ সময় পার করছি তখন। নানা ব্যবসার প্রজেক্ট দিচ্ছি। একবার অফিসের বসের এক আত্নীয়ের জন্য চাকরির তদবির নিয়ে গেলাম জনতা ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে। কথা প্রসঙ্গে উনি বললেন, মানুষকে আর কতো প্রজেক্ট দিবেন। তার চেয়ে বরং নিজে একটা প্রজেক্ট করেন। তাকে আমি মজা করে বললাম ‘রাজমিস্ত্রি বাড়ি বানায়, বাড়িতে থাকে না।’


আমি প্রজেক্ট দিই মানুষকে। নতুন নতুন ব্যবসার প্রকল্প নিয়ে যারা আসে ওই প্রকল্পে তাদের অর্থায়নের ব্যবস্থা করি। অথচ নিজে প্রজেক্ট করার মতো একটি টাকাও আমার নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেবকে এটা জানালাম। বউভাত বাবদ ৮০ হাজার টাকার ঋণ শোধ করতে পারছি না, তাও বললাম। ভদ্রলোক জানতে চাইলেন প্রজেক্ট করতে কতো টাকা লাগে। তাকে জানালাম ব্যাংক ঋণ পেতে হলে ৩০ শতাংশ ইক্যুয়িটি নিজের থাকতে হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেব আমাকে ৩ লাখ টাকা দিতে চাইলেন আর বাকী ৭ লাখ ব্যাংক থেকে নিতে বললেন। অর্থাত্ ১০ লাখে ব্যবসা শুরুর প্রস্তাব দিলেন তিনি। চোখে তখন বিরাট স্বপ্ন আমার। তাকে জানালাম, ৩০ লাখের কমে প্রজেক্ট হবে না। জানতে চাইলেন, কি করতে চাই।


আমি বললাম সবাই গার্মেন্টস করছে, এটি করা যেতে পারে। তার মানে- ব্যাংক ঋণ পেতে হলে ইক্যুয়িটি লাগবে ১০ লাখ টাকা! ইক্যুয়িটির নগদ ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হলেন তিনি। বাকী ৫ লাখ টাকার জন্য আরেকজন পার্টনার যোগাড় করার পরামর্শ দিলেন। তখন নিজের ঝুঁকির কথা বলালাম। তাকে বললাম, চাকরি ছেড়ে প্রজেক্ট শুরু করছি কিছুদিনপর আপনি যদি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে কি হবে? আমার ব্যাংক একাউন্টে ৫ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দেন। তাহলে বুঝবো আপনি সিরিয়াস। পাশাপাশি সংসার চালানোর জন্য মাসে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। শর্ত মেনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বললেন তিনি। ন্যাশনাল ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললাম। পরের দিনই আমার অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ টাকা জমা দিলেন তিনি। এর পর আরো কিছু টাকা দেন। সব মিলিয়ে লাখ চারেক মতো।


মনে মনে একজন পার্টনারের খোঁজ করছি। আমি তখন মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের একজন অফিসিয়াল। বাফুফের বর্তমান সহসভাপতি বাদল রায় তখন দলটির খেলোয়োড়। ব্যবসা করলে সাথে নেয়ার কথা সে বলেছিল আমাকে। বাদলের সাথে কথা বলতে মোহামেডান অফিসে গেলাম। পথে সালাম মুর্শেদীর সাথে দেখা। সে জানতে চাইলো, কোথায় যাচ্ছি। বললাম, বাদলের সাথে দেখা করতে। ও জানাল সে তো নেই। আমি ফেরত যেতে রওয়ানা হচ্ছি। তখন জানতে চাইলো বিষয়টি, তাকে বলা যাবে কিনা। আমি বললাম, তেমন কিছু না। বাদল ব্যবসায় বিনিয়োগের কথা বলেছিল, তাই আলাপ করতে এলাম। সালাম মুর্শেদী বলল,‘আমাকে নিয়ে নেন’। বললাম তাহলে নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেবের কাছে যেতে হবে মোতাকে। কারণ, তিনিই প্রথম উদ্যোক্তা। সালামকে নিয়ে তার কাছে তিনি এলাম। আলাপ-আলোচনার পর রাজি হলেন নিয়ে। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বললেন। সালামের একটা এফডিআর ছিল ৪ লাখ টাকার মতো। এফডিআর ভেঙ্গে আমার একাউন্টে জমা করে দেয় সে। প্রজেক্ট করব জানিয়ে ব্যাংকের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেই। তখনকার ডিজিএম মোশারফ হোসেন (মিউটুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক এমডি) প্রমোশন দেয়ার কথা বললেন, বেতন বাড়ানোর কথা বললেন। কিন্তু আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বললাম, এখন আর সম্ভব না। পার্টনাররা আমাকে টাকা দিয়ে দিয়েছে। এখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব না। যা হয় দেখি।


পার্টনাররা তাদের কথা অনুযায়ী ১০ লাখ টাকা দিলেন আমাকে। ব্যাংকে গেলাম ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য। বাড়ি বন্ধক রাখার কথা বলল তারা। আমাদের বাড়িটা বন্ধক রেখে ঋণ নিলাম, এলসি খুললাম। তারপর শুরু করলাম অনেক আকাঙ্খার প্রজেক্ট। বায়ার কারা জানি না, কোথা থেকে অর্ডার পাবো জানি না। কিভাবে গার্মেন্টস চালায় তাও জানি না। কোন অভিজ্ঞতাই নাই। শুধু নিজের ওপরে সাহস ছিল। সাহসের উপর ভর করে প্রথমে একটা সাব— কন্ট্রাক্ট নিলাম। কাজটা শেষ হওয়ার পর মুম্বাই থেকে এক ভদ্রলোক এলেন আমার সাথে কথা বলতে। বিদেশী দেখে আমার ভাড়া করা এসিটা ছেড়ে দিলাম তাকে।


এসির শব্দে তিনি বললেন, বুঝতে পেরেছি তোমার ঘরে এসি আছে। এখন এটা বন্ধ করে দাও, বেশ শব্দ করছে। বললাম, আমি এসি ছাড়াই অভ্যস্ত, তোমাদের মতো বিদেশিদের জন্য রেখেছি। বাকি সময় বন্ধই থাকে এটি। আমার সহজ সরল কথায় মুগ্ধ হলো সে। ফ্যাক্টরি ভিজিট করতে চাইলে আমি তাকে নিয়ে যাই। সেটি আয়তনে ছোট ছিল তবে উত্পাদন দক্ষতা ছিল অন্যদের থেকে বেশী। সে প্রথম ট্রায়াল হিসেবে ৬ হাজার পিস ম্যাংগো পায়জামার অর্ডার দেয়। ব্যবসায় নতুন হিসেবে ১০ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার সুযোগ দেয়া হলো আমাকে। অনভিজ্ঞতার জন্য আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ করতে ৫ দিন পার হয়ে যায়। তারপর রাতদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করে সে অর্ডার যথাসময়ে শিপমেন্ট করি।


ব্যাংক থেকে বিল পাওয়ার পরভারতীয় ভদ্রলোক আকবার লাখখানীর টাকা পরিশোধ করতে হোটেলে গেলাম। কাজ দেয়ার সময়ই কমিশন নেয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। আমাকে দেখে বিরক্তই হলেন তিনি। পরে টাকা নিয়ে আসার কথা শুনে খুব অবাক হলেন। নিজ থেকে কমিশনের টাকা পরিশোধ করতে কেউ তার কাছে আসেনি এর আগে। খুশী হয়ে আমাকে ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দেন ভদ্রলোক। আমি তার আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলাম। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র ১১ মাসের মাথায় আমি পার্টনার এবং ব্যাংকের সব ঋণ শোধ করে দেই।


ভদ্রলোক আমাকে এত অর্ডার দিতে থাকেন যে, ১৪ টা ফ্যাক্টরিতে আমার সাব কন্ট্রাক্ট চলে তখন। তাকে বলেছিলাম এসব তদারকি করার মতো লোক নেই। সে নিজেই বেশীরভাগ ফ্যাক্টরি সে নিজেই মনিটর করত। আমাকে ধনী বানাতে চায় বলেই সেসব অর্ডার আমাকে দিয়েছিলেন তিনি। ৮৪ সালে ব্যবসা শুরুর পর ৮৬-তে এসেই আমার ব্যাংকে জমা হয় ১ কোটি টাকা। নগদ টাকা দিয়ে গামের্ন্টস কেনা শুরু করি তখন। যাদুর মতো কাজ করছিল সব কিছু। এর মধ্যে দুই নম্বর কাজ করার জন্যও অনেকে বলেছে। কিন্তু কোনদিন সেসব দিকে যাইনি। জীবনে হারাম কিছু করব না, এটা সবসময় ধর্মের মতো করে পালন করে আসছি।


জীবনে তিনবার নির্বাচন করেছি, তিনবারই জিতেছি। বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক সময় প্রায় প্রতিদিনই সংবাদে এসেছি। দেশে খেলাধুলার ইতিহাসের বড় ইভেন্ট সাউথ এশিয়ান গেমস আমার হাত ধরে হয়েছে। সে বছর সব থেকে বেশী পুরস্কার অর্জনের কৃতিত্বও অর্জন করে বাংলাদেশ। ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকারের কাছ থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার অর্জন করেছি।


পরিবারের সঙ্গে সময় দেয়াতেই বেশী আনন্দ পাই। ব্যবসা করতে গিয়ে দীর্ঘসময় ব্যয় করেছি, পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। আমার স্ত্রী একদিন বলল, আমি যখন ব্যাংকে কাজ করতাম সেসময় তাকে নিয়ে রিকশায় চড়ে ঘুরতাম, বাদাম কিনে খেতাম। ওই সময়টাই তার জন্য আনন্দের ছিল। এখন আমাদের গাড়ী-বাড়ি হয়েছে কিন্তু সেসময়ের সুখ আর সে পায় না। এ কথাটা আমাকে খুব নাড়া দেয়। এ কারণে আমি আর কোথাও সেভাবে যাই না। তাকে সময় দেওয়ার জন্য প্রায় কোন অনুষ্ঠানেই যাই না। ব্যবসার বাইরে পুরো সময় এখন পরিবারকেই দিচ্ছি।


বিবার্তা আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com