শিরোনাম
৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২০, ০৮:১৩
৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় অচিরেই আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ।


সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিপত্রের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) ঘাটতি মোকাবিলার সহায়তা হিসেবে এ অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। যার গড় সুদের হার হবে ১ শতাংশের কম।


আইএমএফের ঋণে কঠিন শর্ত থাকলেও এক্ষেত্রে তেমন কোনো কঠিন শর্ত থাকবে না। দীর্ঘমেয়াদি এ ঋণের অর্থ সরকার তার প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবে।


সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে আইএমএফ সদস্য দেশগুলোর আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি তহবিল তৈরি করেছে।


এ তহবিল থেকে সদস্য দেশগুলোকে বিশেষ ঋণ সহায়তা দেয়া হবে কম সুদে এবং সহজ শর্তে। কেননা আইএমএফ করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট মহামারীকে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ সময় বলে অভিহিত করেছে।


এ সংকট কাটাতে তারা বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে বলেছে। এ কারণেই আইএমএফ সদস্য দেশগুলোকে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। চলতি বছরের জন্য আইএমএফের কাছে বাংলাদেশের ঋণের কোটা রয়েছে প্রায় ১৪৬ কোটি ডলার।


অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনুযায়ী আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১২০ কোটি ডলার ঋণ পেতে পারে। কেননা আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবস্থা বিবেচনায় নেয়া হয়।


এর মধ্যে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে করোনার প্রভাব মোকাবিলার জন্য ইতোমধ্যে ৭০ কোটি ডলার চেয়েছে। যা আইএমএফের কাছে ঋণের কোটা, পাওয়ার সক্ষমতার বিবেচনায় বেশ কম। এ কারণে ওই পরিমাণ ঋণ আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ পেতে পারে।


এর আগে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০১২ সালে ৯৮ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল। এর মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হয়েছে। এরপর থেকে আইএমএফের সঙ্গে সরকারের কোনো ঋণ চুক্তি নেই।


তারা বাংলাদেশকে ঋণ দিতে নানা প্রস্তাব দিলেও সরকার তা নেয়নি। কারণ ওই সময়ে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার কোনো ঘাটতি ছিল না। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি দেখা দিলেই আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নেয়।


এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রভাবে রেমিটেন্স ও রফতানি আয় কমে গেছে। সামনে এটি আরো কমবে। সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এ দুটিই বড় খাত।


তিনি আরো বলেন, বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণও কমে গেছে। সব মিলে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে একটি বড় ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে যে ঋণ সহায়তা নিচ্ছে এটি ইতিবাচক।


তবে ঋণের অর্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে এবং যথাসম্ভব উৎপাদন খাতে নিতে হবে। তাহলে ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় অর্থনীতিতে বাড়তি কোনো চাপ পড়বে না।


বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, করোনার প্রভাবে রফতানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহ ভয়ানক ভাবে কমে যাওয়ায় সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ ঘাটতি মোকাবিলা করতে সরকার আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছে ঋণ সহায়তা চেয়েছে।


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com