শিরোনাম
করোনা ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাড়ে ৬ লাখ ব্যাংকার
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২০, ২১:৪৬
করোনা ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাড়ে ৬ লাখ ব্যাংকার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনায় আক্রান্ত ও নিহতের তালিকা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে উন্নত দেশগুলো।বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। করোনার বিষাক্ত থাবায় ইতোমধ্যেই গোটা দেশে চলছে অঘোষিত 'লক ডাউন'। জরুরী সেবাদানে নিয়োজিত বাহিনী, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার সদস্যরা বাদে অন্যরা রয়েছেন ছুটিতে। সীমিত পরিসরে চলছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম।


করোনা সংকটকালে দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে দেশের সাড়ে ৬ লাখ ব্যাংকার। সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, চিকিৎসকদের মতো তারাও রযেছেন সম্মুখসারিতে। কেননা দেশের এই দুর্যোগকালীন সময়েও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাংকিং সেবা অত্যাবশ্যকীয়। তাই সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা চালু এখন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১.৩০ পর্যন্ত ব্যাংকিং আওয়ার ঘোষণা করেছে।


সরকারের নির্দেশনা মতে ব্যাংকাররা প্রথমদিন থেকেই মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে। সারাদেশব্যপী সীমিত পরিসরেই চলছে ব্যাংকের কার্যক্রম।


এদিকে ব্যাংক সচল থাকলেও ব্যাংকারদের করোনা ঝুঁকি এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। এর ফলে চরম আতঙ্ক ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে দেশের সাড়ে ছয় লাখ ব্যাংকার। কেউ কেউ ব্যক্তিগত চেষ্টায় নিরাপত্তার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করলেও সেটি অত্যন্ত নগণ্য।



জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নির্দেশনায় ব্যাংকারদের সুরক্ষার জন্য বিআরপিডি ৫ এবং WHO এর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর কথা বলেছে। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংকের শাখাতে এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না তথা ব্যাংকারদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকিং সেবায় কর্মরত এই বিরাট জনগোষ্ঠী করোনা ঝুঁকিতে।


এ প্রসঙ্গে জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা রেজা ফরহাদ বিবার্তাকে বলেন, ব্যাংকারদের দেখার কেউ নেই। সাড়ে ছয় লাখ ব্যাংকারদের পরিবারে সদস্য ৫ জন করে হলেও সেটি গিয়ে দাড়ায় ৩০ লাখের উপরে। অথচ এই বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে বিশাল করোনা আতঙ্কে।


কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসকরাই এখনো পর্যাপ্ত পিপিই বরাদ্দ পায়নি। সেখানে ব্যাংকারদের কথা হয়তো চিন্তাও করা হচ্ছে না। অথচ প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে যেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মীদের।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com